আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১৫ সালে সূচনা হয়েছিল। বাংলা সাহিত্য উৎসব। শুধু বাংলা সাহিত্য উৎসব নয়, ভারতের প্রথম বাংলা সাহিত্য উৎসব হল 'এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব' এককথায় এবিএসইউ। এক-দুই করে পেরিয়ে গেল এক দশক। দেখতে দেখতে দশ বছর পার।

চলতি বছরে এক দশক পেরিয়ে এগারোয় পা এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসবের। সাত থেকে ন' নভেম্বর, তিনদিন ধরে চলবে সাহিত্য উৎসব। 


চলতি বছরে  আয়োজন আরও বিপুল। তিন দিনের সাহিত্য উৎসবে, একদিকে যেমন থাকছে একাধিক কিংবদন্তি বাঙালি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের শতবার্ষিকী স্মরণ, তেমনই সিনেমা, প্রকাশনা, শিক্ষা ও কবিতার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।  


চলতি বছরের সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন করেছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। কথা বলবেন 'মহাভারত ও আধুনিকতা' নিয়ে। বিকেল পাঁচটা থেকে সাতটার অনুষ্ঠান 'বিস্মৃতির সঙ্গে বেঁচেছিল কৃষ্ণা'। কৃষ্ণা ট্রাস্ট আয়োজিত বই প্রকাশ অনুষ্ঠান, নই উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী, নাট্যকার ব্রাত্য বসু। তারপরেই থাকবে গুণিজন সমাবেশে মনোগ্রাহী আলোচনা। আট এবং ন' নভেম্বর থাকছে একগুচ্ছ আলোচনা সভা।

তালিকায়- আধুনিক শিক্ষা ও সাহিত্যে নারীর ভূমিকা, কবিতায় রাজনীতি, প্রকাশনার সেকাল-একাল, শতবর্ষে বাদল সরকার, শতবর্ষে ঋত্ত্বিক ঘটক, ও আলোর পথযাত্রী: শতবর্ষের আলোয় সলিল, কিশোর সাহিত্যে দাদাগিরি, বাংলা সিনেমার সেকাল-একাল ইত্যাদি। প্রতিটি সেশনে আলোচনায় থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

 

উপস্থিত থাকবেন  অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী, অঞ্জন দত্ত, অপরাজিতা দাশগুপ্ত, অভীক মজুমদার, ব্রাত্য বসু, জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, মীর আফসার আলি, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, শঙ্কর চক্রবর্তী, শর্মিলা মাইতি, শিলাদিত্য সেন, শ্রীজাত, সুধাংশু শেখর দে, যশোধরা রায় চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা। সবথেকে নজরকাড়া হতে চলেছে, 'স্কুল পড়ুয়াদের আড্ডা: খুদেরা কি আদৌ বাংলা বই পড়ে?' এই আলোচনা সভায় অংশ নেবে বিভিন্ন স্কুলের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা।