আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত। বাতিল ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল। চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার চাকুরীজীবীর। সুপ্রিম নির্দেশের পরেই গতকাল সরকার পক্ষের হয়ে বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জানিয়েছেন, তিনি, তাঁর সরকার সবসময় রয়েছে চাকরিহারাদের পাশে। 

ঠিক তার পরের দিন, সাংবাদিক বৈঠক করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, সুপ্রিম নির্দেশ দেখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সরকার পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছে এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকার থেকে চিঠি। সাফ জানানো হয়েছে কাজ করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। এসএসসির চেয়ারম্যান জানালেন, ‘আমরা অবশ্যই কালক্ষেপ করব না, তবে তার আগে আমাদের কিছু আইনি স্পষ্টতা প্রয়োজন।‘ গোট বিষয়ে বেশকিছু ধোঁয়াশা, সংশয় রয়েছে, সেগুলি স্পষ্ট করা, আইনি পরামর্শ নেওয়া প্রাথমিক কাজ বলেও জানান তিনি। তবে এসএসসি প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করছে বলেও জানান চেয়ারম্যান। 

তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া কি তিন মাসের মধ্যে সম্ভব হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে এসএসসির চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া, তার সময় নির্ভর করে কত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবেন তার উপর নির্ভর করে। হিসেব দিয়ে জানান, আগেরবার ২৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিলেন, প্রায় ২২ লক্ষ পরীক্ষায় বসেছিলেন। নবম-দশম- একাদশ-দ্বাদশ মিলয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় তিন লক্ষ। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-তে ১৮ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সঙ্গেই জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিন মাসের উল্লেখ নেই। তিনমাসে সম্ভব নয় বলেও জানান। 

অন্য চাকরি থেকে আসা প্রার্থীদের জন্য কী ব্যবস্থা? অন্য চাকরি থেকে কেউ এসে থাকলে, সেই তথ্য এসএসসির কাছে আছে কি না দেখতে হবে। যিনি চাকরিরত, এটা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব বলে জানান চেয়ারম্যান। বলেন, তিনি পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করবেন। বলেন, এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। প্রয়োজনে সুপারনিউমেরি পদ তৈরি করতে হতে পারে, বলেও উল্লেখ রয়েছে রায়ে, জানালেন এসএসসি চেয়ারম্যান।