আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাটকীয় রাত। এমন ম্যাচে আবেগ, উচ্ছ্বাস চেপে রাখা কঠিন। ফ্যানরা পারেনি। কীভাবে চেপে রাখবেন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালকিন? আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মাতেন প্রীতি জিন্টা। যা মুহূর্তের মধ্যে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। ১১১ রান করে জেতার কল্পনা করতে পারেননি পাঞ্জাব কর্তৃপক্ষ। তাই শ্রেয়সদের জয়ের পর উগ্র সেলিব্রেশনে মাতেন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালকিন। চিৎকার করার পাশাপাশি লাফাতে শুরু করেন। ফাইনাল উইকেট পড়া মাত্র ক্যামেরা প্রীতি জিন্টাকে ধরে। ততক্ষণে সাইডলাইনে লাফাতে শুরু করেছেন বলিউড সুন্দরী। দু'হাত শূন্যে। চোখে একরাশ অবিশ্বাস। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ছড়িয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভালবাসায় ভরিয়ে দেয় ফ্যানরা। অনেকে লেখেন, এই উচ্ছ্বাসে কোনও দেখনদারি নেই, শুধুই আবেগ।
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করার রেকর্ড করে পাঞ্জাব কিংস। ছাপিয়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংসকে। এর আগে ২০০৯ আইপিএলে ১১৬ রান ডিফেন্ড করে জেতে ধোনিরা। এবার ১১১ রান ডিফেন্ড করে নতুন নজির গড়ে পাঞ্জাব। কখনও আবেগ চেপে রাখার চেষ্টা করেননি প্রীতি জিন্টা। প্রতিটি মুহূর্ত চুটিয়ে উপভোগ করেন। ফ্যানরা তাঁর এই উচ্ছ্বাস পছন্দ করেছে। এদিন দুই দলের ব্যাটারদের জন্যই রোলার কোস্টার রাইড ছিল। ১৫.৩ ওভারে ১১১ রানে শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস। মনে হয়েছিল অনায়াসেই জিতবে কেকেআর। কিন্তু পাঞ্জাবের বোলারদের ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। যুজবেন্দ্র চাহালের মাস্টারক্লাসে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় নাইটরা। চাহালের ওভারে জোড়া ছক্কা এবং একটি চার হাঁকিয়ে আশা জাগান আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ক্যারিবিয়ান তারকাকে বোল্ড করে নাইটদের শেষ আশায় জল ঢেলে দেন জ্যানসেন।
