আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলের ভরা ইডেনে আইএসএলের তারকারা! শাহরুখ-শো, কেকেআর-আরসিবি দ্বৈরথ দেখতে ক্রিকেটের নন্দনকাননে হাজির মোহনবাগানের দুই অজি ফুটবলার-- পেত্রাতোস এবং ম্যাকলারেন। ছিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট, অলড্রেড। এক টুকরো মোহনবাগান যেন উপস্থিত হয়েছিল ইডেনে।  

ম্যাকলারেনের ভাল বন্ধু অজি তারকা মার্কাস স্টোয়নিস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও তিনি ক্রিকেট নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। পেত্রাতোসও ক্রিকেট সম্পর্কে অবহিত। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অন্যতম কর্তা উৎসব পারেখও ছিলেন ইডেনে। 

আইএসএলে মোহনবাগান লিগ শিল্ড জিতেছে। দুর্দান্ত গিয়েছে মরশুম। ম্যাকলারেন প্রথমবার সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলতে নেমেই সফল। পেত্রাতোসের কথা কে ভুলতে পারে! যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশার বিরুদ্ধে পেত্রাতোসের গোল লিগ-শিল্ড এনে দেয় সবুজ-মেরুনকে। 

সেই পেত্রাতোস এবং ম্যাকলারেন এসেছেন ইডেন গার্ডেন্সে। বৃষ্টি-ঝড়ের ভয় উপেক্ষা করে ইডেনের গ্যালারি ভর্তি। শাহরুখ খানের সঞ্চালনায় ইডেন মোহিত হয়ে যায়। শ্রেয়া ঘোষাল তাঁর গলায় মুগ্ধ করেন নন্দনকাননকে। কিং খানের ডাকে সাড়া দিয়ে নাচেন বিরাট কোহলি ও রিঙ্কু সিংও। ইডেনে ক্রিকেট-যজ্ঞ সুপারহিট। সেই ক্রিকেট-যজ্ঞে উপস্থিত আইএসএলের দুই তারকা। দুই অজি তারকা চাক্ষুষ করলেন ক্রিকেটের ক্যারিশমা। উপেক্ষা আর পারলেন কোথায় তাঁরা! 

এর আগেও ইস্ট-মোহনের খেলোয়াড়রা ইডেনে গিয়েছেন। তখন অবশ্য আইএসএল যুগ আসেনি। ইস্ট ও মোহনের স্পনসর ছিল যথাক্রমে কিংফিশার ও ম্যাকডাওয়েল। এদিকে তখনকার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ছিল বিজয় মালিয়ার দল। অর্থাৎ একই মালিকের তিনটি দল। ইডেনে কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচে বিজয় মালিয়া চেয়েছিলেন, দুই প্রধানের খেলোয়াড়রা মাঠ ভরাবেন। আরসিবির হয়ে গলা ফাটাবেন। বিজয় মালিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে দুই প্রধান সেদিন এসেছিল ইডেনে। সে অবশ্য বহু আগের ঘটনা। 

এদিন মোহনবাগানের বিদেশি তারকারা দলের কর্ণধারের সঙ্গে পুরোদস্তুর ক্রিকেট উপভোগ করেন। কলকাতা আসলে হয়ে উঠেছিল উৎসব মুখর।