আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিটি মানুষ সেই পথে চালিত হয় যেখানে তার ব্রেন তাকে নিয়ে যায়। সেখানে যদি কেউ মনে করেন তিনি নিজেকে নিজে পরিচালিত করেন সেটা কিন্তু একেবারেই নয়। 


আমাদের ব্রেন হল একটি কম্পিউটারের মতো। সেখানে বিভিন্ন তথ্য যত্ন করে সংরক্ষিত করা রয়েছে। যদি সেখান থেকে কোনও তথ্য দরকার হয় তাহলে সেটি অতি সহজেই সে বের করে দিতে পারে। তবে যদি কেউ মনে করেন তিনি নিজের ব্রেনকে পরিচালিত করছেন তাহলে সেটি একেবারে সঠিক নয়। ব্রেন আপনাকে পরিচালিত করে থাকে।


প্রতিটি মানুষের ভালমন্দ থেকে শুরু করে সবকিছুই ব্রেন দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সেখানে যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলেই দরকার পড়ে কোনটি ঠিক এবং কোনটি ভুল। সম্প্রতি নেচার পত্রিকাতে যে তথ্য সামনে এসেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে ব্রেন মানুষকে পরিচালিত করছে। যেভাবে সে মনে করছে দেহকে দিয়ে কাজ করাবে সে করিয়েছে। এমনকি চোখের ওপর বিরাট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ব্রেনের। সেটাই সে দেখাতে চেয়েছে যেটা সে মনে করছে দেখাবে।


গবেষকরা মনে করছেন মানুষের ব্রেন একটি নিজস্ব পরিচালিত সংস্থা। সেখানে নানা ধরণের কাজ সে নিজে থেকেই করতে থাকে। কোনটি ভাল বা কোনটি খারাপ সে নিজে থেকেই জানে। সেইমতো নিজের কাজটি করতে সে চেষ্টা করে। দেহের বাকি অংশকে সেইভাবে কাজ করিয়ে নিতে পারে ব্রেন।


যদি কেউ মনে করেন তার দেহের প্রতিটি কাজ তিনি নিজে থেকেই করতে পারেন। তাহলে সেটি তার কাছে বিরাট ভুল ধারণা। মানুষের বেঁচে থাকার প্রথম দিন থেকে শুরু করে মৃ্ত্যু পর্যন্ত ব্রেন দ্বারা সে পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রতিটি সময় ধরে ব্রেন শিক্ষালাভ করতে থাকে। এই শিক্ষালাভ শেষ নয় তার মৃত্যু দিয়েই। সেইসময় ব্রেন ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়ে বা আর কাজ করতে পারে না।


আমাদের ব্রেন মাল্টিটাস্কার হিসেবে কাজ করে। তার কাছে সমস্ত কিছুই স্টোর হয়ে থাকে। সেখানে নিজের দরকার মতো সে নিজেকে চালিয়ে নিয়ে যায়। ব্রেনের কাজের কোনও সীমারেখা নেই। ফলে সে সকলের মধ্যে নিজেকে আলাদা গুরুত্ব দিতে পারে।