আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শুয়োরের কিডনি। তারপর সেটিকে ব্যবহার করে দিব্যি ছিলেন সেই ব্যক্তি। তবে সমস্যা হল ঠিক চারমাস পরেই।


বিশ্বের সবথেকে বড় শুয়োরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল একজন অসুস্থ মানুষের দেহে। প্রতিস্থাপনের কাজটি হয়েছিল একেবারে নির্বিঘ্নেই। তবে বিপদ ঘটল ঠিক চারমাসের মাথায়। ফেল করে গেল সেই কিডনি। ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর এই কিডনিটি বসানো হয়েছিল এই ব্যক্তির দেহে। তবে এটি যেহেতু কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে তাই তাকে ফের সরিয়ে ফেলার হল তার দেহ থেকে।


তবে টানা ৪ মাস ৯ দিন মানুষের দেহে শুয়োরের কিডনিটি কাজ করেছিল। ফলে এটি একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। এই প্রথম কোনও মানুষের দেহে শুয়োরের কিডনি এতদিন ধরে কাজ করল। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এটি সফলতার পাশাপাশি একটি ব্যর্থতা। 


৫৩ বছরের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তার দেহে এমন একটি পরীক্ষা করার জন্য তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন। যদিও তার দেহ থেকে শুয়োরের কিডনি খুলে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ১৩০ দিন ধরে এই কিডনিটি তার দেহে ছিল। সেখানে তিনি কোনও সমস্যা অনুভব করেননি। এই ধরণের একটি চিকিৎসার অংশ হতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছেন। 

 


তবে কেন মানুষের দেহে শুয়োরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল সেবিষয়ে বলতে গিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুয়োরের দেহের বেশ কয়েকটি অঙ্গ মানুষের সঙ্গে সমান। তাই তারা এক্ষেত্রে শুয়োরের কিডনিকে ব্যবহার করেছিলেন। এদের দুজনের জিনগত গঠন অনেকটা সমান। তাই তারা শুয়োরকে এই পরীক্ষার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। যদিও এই কাজটি করতে গিয়ে তাদের বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে তারা সফলতার সঙ্গেই কাজটি করেছেন। 

 


বিজ্ঞানীরা তবে খানিকটা হতাশ হয়েছেন যেহেতু এই কিডনিটি ফেল করেছে। তারা মনে করছে শুয়োরের কিডনি হয়তো শেষসময় এসে মানুষের দেহের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। তাই বহুদিন সে টিকে থাকতে পারেনি। তবে যতটা সময় ধরে এই কিডনি কাজ করেছে তার একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে।