আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের তিন বছর ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই দেশের। ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়ান সরকার ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলির বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া ভেবেছিল অল্প কয়েকদিনেই ইউক্রেনকে হারিয়ে দেবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলির সমর্থনের কারণে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে চলেছে।

এখন জার্মানিও আশঙ্কা করছে যে রাশিয়া অদূর ভবিষ্যতে তাদের উপর আক্রমণ করতে পারে। তাই জার্মানি বাঙ্কার এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণ করতে শুরু করেছে। সে দেশের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়া আগামী চার বছরের মধ্যে জার্মানিতে আক্রমণের পরিকল্পনা করতে পারে।

এর আগে, জার্মানির নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রাল্ফ টেশনার বলেছিলেন, জার্মানির কোনও ভয় নেই এবং অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে না। তবে ইউরোপে একটি বড় যুদ্ধ শুরু হতে পারে এমন আশঙ্কা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোয় রাশিয়া ন্যাটো দেশগুলিকেও নিশানা করতে পারে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বিবিসি-কে একটি সাক্ষাৎকারে জার্মানির সামরিক প্রধান জেনারেল কার্স্টেন ব্রুয়ার বলেন, রাশিয়া প্রতি বছর শত শত ট্যাঙ্ক তৈরি করছে। যদি ২০২৯ সালের মধ্যে ন্যাটো দেশগুলিতে আক্রমণ করা হয়, তাহলে এই ট্যাঙ্কগুলি ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও, জার্মানি এখন নতুন বাঙ্কার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছে। এই কাজের জন্য সময় এবং অর্থ উভয়েরই প্রয়োজন। মেট্রো স্টেশনগুলিতে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্র, গাড়ি পার্কিং এলাকা, বেসমেন্ট এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। 

জার্মানিতে বর্তমানে ২,০০০ বাঙ্কার রয়েছে যেগুলি ঠান্ডা যুদ্ধের সময় তৈরি। কিন্তু বর্তমানে এর মধ্যে মাত্র ৬০০টি ব্যবহারযোগ্য। সেগুলি মেরামত করতেও খরচ প্রচুর। বর্তমানে জার্মানিতে মাত্র ৪,৮০,০০০ মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বিপরীতে, ফিনল্যান্ডে ৫০,০০০ এরও বেশি সুরক্ষা কক্ষ রয়েছে যা ৪.৮ মিলিয়ন মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে।