আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিত্যদিন শরীরচর্চাতেই মগ্ন। রাতারাতি ওজন বাড়াতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। কয়েক সপ্তাহ একটানা ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার খেয়ে কয়েক কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল এক ফিটনেস কোচের। অবশেষে ঘুমের মধ্যে মর্মান্তিক পরিণতি হল তাঁর। নিঃশব্দে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সি ওই ফিটনেস কোচের নাম, দ্যমিট্রি নুয়ানজিন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ২৫ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল তাঁর। একটানা কয়েক সপ্তাহ শুধুমাত্র তৈলাক্ত, মশলাদার খাবার খেয়েছিলেন। ক্রমেই তাঁর ওজন বাড়তে শুরু করে। যা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় তাঁকে।
জানা গেছে, নুয়ানজিন একজন জনপ্রিয় ফিটনেস কোচ। রাতারাতি কীভাবে ওজন কমানো সম্ভব, শরীরচর্চার মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব, তা নিয়েই প্রশিক্ষণ দেন। নুয়ানজিনের ইচ্ছে ছিল, একধাক্কায় ২৫ কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেলবেন। ২৫ কেজি ওজন বাড়ানোর পর কীভাবে ফের ওজন কমানো যায়, তাই প্রশিক্ষণ দিয়ে দেখাতে চেয়েছিলেন। এই চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে দিনে দশ হাজার ক্যালোরির খাবার খেতেন তিনি।
মৃত্যুর একদিন আগেই বন্ধুদের নুয়ানজিন জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী সেদিন ফিটনেস ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরেরদিন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর। তার আগেই সব শেষ। ঘুমের মধ্যে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান তিনি।
গত ১৮ নভেম্বর নুয়ানজিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে চিপস খেতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, এখন তাঁর ১০৫ কেজি ওজন। এক মাসে ১৩ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছে তাঁর। কী কী খেতেন সেই সময়? দুপুরে মেয়োনিজে ভরা দু'পাউন্ড ডামপ্লিং, ডিনারে বার্গার, পিৎজা। আর দিনভর ভাজাভুজি খেতেন।
সকালে মূলত অর্ধেক কেক, পেস্ট্রি খেতেন। একটানা জাঙ্ক ফুড খেয়েই নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে এনেছিলেন তিনি। ওজন কমানোর ট্রেনিং দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে হতবাক বন্ধু, আত্মীয়, পরিবার এবং তাঁর ফলোয়াররা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, 'নুয়ানজিন অসাধারণ একজন মানুষ এবং দক্ষ ফিটনেস কোচ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করতে পারছি না।' আবার একজন লিখেছেন, 'যাঁদের জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস নেই, হঠাৎ একটানা এমন খাবার খেলে অসুস্থ বোধ করাটাই স্বাভাবিক।'
গত দশ বছরে রাশিয়ার জনপ্রিয় অ্যাথলিটদের পার্সোনাল ট্রেনার হিসেবে কাজ করেছেন নুয়ানজিন। সেন্ট পিটার্সবার্গের ন্যাশনাল ফিটনেস ইউনিভার্সিটি থেকেও ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকেরই ধারণা, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার জন্যেই হার্টে চাপ পড়েছিল।
