আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে ইসলামাবাদের। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও পাক সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির-কে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা ওয়াশিংটন এবং দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির মধ্যে সাম্প্রতিক উষ্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে। বৈঠকের আগে ট্রাম্প উভয়কেই "মহান নেতা" হিসেবে প্রশংসা করেছেন। রুদ্ধদার বৈঠক হয় তিনজনের। কী কথা হল? তা নিয়ে কৌতুহল।

শরিফ স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটাটার ঠিক আগে (স্থানীয় সময়) ওয়েস্ট এক্সিকিউটিভ অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশপথে পৌঁছান, যেখানে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তাঁর পাশে ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।

সংবাদ নাধ্যমের কোনও কর্মী এই বৈঠকে ঢুকতে পারেননি। ওভাল অফিসের অধিবেশনটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শরিফের প্রথম বৈঠক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। পাকিস্তানের জন্য এই বৈঠক ছিল ঐতিহাসিকও। কারণ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফরের পর থেকে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী ওভাল অফিসে প্রবেশ করতে সুযোগ পাননি।

কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে? সে বিষয়ে স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, আঞ্চলিক সুরক্ষা-সহ একাধিক ইস্যুতেই কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

মার্কিন শুল্ক আরোপের ফলে বিগত কয়েক মাসে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্ব বেড়েছে। মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের পর থেকেই যুদ্ধ থামানোর দাবি করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত জুন মাসেই হোয়াইট হাউসে মধ্যহ্নভোজে পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরকে ডেকেছিলেন ট্রাম্প। এর ঠিক পরেই আসিম মুনির ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন। এই প্রেক্ষাপটে পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনা প্রধানের এই মার্কিন সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতে, জুলাই মাসে, দুই দেশ একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের অব্যবহৃত তেল মজুদ বিকাশে সহায়তা করার পাশাপাশি পাকিস্তানি রপ্তানির উপর শুল্ক কমাতে সাহায্য করবে।

তবে টাানপোড়েন জারি থাকলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শুধরে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্বয়ং ট্রাম্প। গত সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন যে, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেন, "আমি আগামী সপ্তাহগুলিতে আমার খুব ভাল বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি নিশ্চিত যে আমাদের উভয় মহান দেশের জন্য একটি সফল সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কোনও অসুবিধা হবে না!" 

আরও পড়ুন- এবার ওষুধেও ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প! প্রমাদ গুণছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা