আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিনের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তায় পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণ করছে। রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা প্রকাশিত সর্বশেষ 'ওয়ার্ল্ড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট' রিপোর্টে এই তথ্য মিলেছে। ভারতকে ভয় দেখাতেই পাকিস্তানের এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী বছরের জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষ এবং পারমাণবিক অস্ত্রের আধুনিকীকরণ অব্যাহত রাখা।
'ওয়ার্ল্ড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট' রিপোর্ট অনুসারে, "পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণ করছে এবং পারমাণবিক উপকরণ, পারমাণবিক কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণের নিরাপত্তা বজায় রাখছে। পাকিস্তান প্রায় নিশ্চিতভাবেই বিদেশি সরবরাহকারী এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে গণবিধ্বংসী পণ্য সংগ্রহ করে।"
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পাকিস্তান গণবিধ্বংসী অস্ত্র (WMD) তৈরির জন্য চিন থেকে উপকরণ এবং প্রযুক্তি পাচ্ছে, যার মধ্যে কিছু স্থানান্তর করা হয় হংকং, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলির মাধ্যমে।
যদিও চিন পাকিস্তানের সামরিক সরঞ্জামের প্রধান সরবরাহকারী, তবুও পাকিস্তানে কর্মরত চিনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে ধারাবাহিক সন্ত্রাসবাদী হামলার কারণে ইসলামাবাদের প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে বেজিংয়ের। সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।
'ওয়ার্ল্ড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট' রিপোর্ট বলা হয়েছে যে, "ভারতকে, পাকিস্তান নিজেদের অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখে। ভারতের প্রচলিত সামরিক সুবিধাকে খাটো করার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন-সহ সামরিক ভাণ্ডার আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।"
