আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিতেই অশান্তি ছড়ায় নতুন করে। মুজিবের ধানমন্ডির বাড়ি-সহ দেশের নানা জায়গায় আওয়ামী লিগের কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চলে। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় হাসিনার সুধাসদনে।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শনিবার রাত থেকে বাংলাদেশে যৌথ অভিযান 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' শুরুর কথা ঘোষণা করে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু কেন এই অপারেশন ডেভিল হান্ট? যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় শয়তানের খোঁজ। কাদেরই বা খোঁজ চলছে? জানা গিয়েছে, বারবার যাঁরা দেশের পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টা করছেন, খোঁজ চলছে তাঁদের।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, প্রথম ১২ ঘণ্টাতে, অর্থাৎ শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ১৩০০জনের বেশি মানুষ গ্রেপ্তার। শেষ পাওয়া তথ্য, সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিশেষ বাহিনীর যৌথ অভিযানে মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে অন্তত ২৭৪ জনকে এবং দেশের অন্যান্য অংশ থেকে আরও ১,০৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তথ্য, বিশেষ অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য। গাজীপুরে আওয়ামী লিগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৮১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, কুমিল্লায় শেখ হাসিনার দলের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লিগের সাত নেতাকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
