আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের মাঝে সামনে এসেছিল জ্যোতি মালহোত্রার কথা। অভিযোগ, পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে সামনে এল এমনই একজনের কাহিনি। যা হার মানাবে যেকোনও সিনেমার চিত্রনাট্যকে। তিনি ইরানে ঢুকে, ধর্ম বদলে, দিনে দিনে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন ইরানের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। তারপর, সর্বনাশ করেছেন ইরানের? চিনুন তাঁকে।

ক্যাথেরিন পেরেজ শাকদাম। ফ্রান্সের বাসিন্দা। উচ্চ শিক্ষিত, বুদ্ধিমতী, সাহসী। ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একজন মহিলা গুপ্তচর তিনি, সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য তেমনটাই। তথ্য, দীর্ঘ পরিকল্পনার পর, বছর দুই আগে গোপনে ইরানে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ধীরে ধীরে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হন। 

তারপর? কেমন ভাবে ধীরে ধীরে পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়েছিলেন তিনি। ওই প্রতিবেদনের তথ্য, প্রথমে, ক্যাথরিন দাবি করেছিলেন যে তিনি কেবল ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী ছিলেন। তিনি শিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে দেখা এবং কথা বলতে শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, তিনি তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং তাদের বাড়িতে নিয়মিত অতিথি হয়ে ওঠেন। দিনে দিনে নানা জায়গায় ঢুকে পড়েন, ছবি তোলেন এবং সংগ্রহ করেন নানা গোপন তথ্য। 

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা যখন তদন্ত শুরু করে, তখন ধীরে ধীরে এই সত্যি বেরিয়ে আসে। কর্মকর্তাদের সঙ্গে তোলা ছবি ক্যাথরিনকে শনাক্ত করতে সাহায্য করে। তবে, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে অনেকটা। 

এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোথায় তিনি? তা কেউ জানে না। ক্যাথেরিন সম্পূর্ণরূপে নিখোঁজ। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তার পোস্টার এবং ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও চিহ্ন নেই।