আজকাল ওয়েবডেস্ক: হর্ষিতা ব্রেল্লা। লন্ডনের ব্রিসবেন রোডের একটি গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দিল্লির বাসিন্দার দেহ। পঙ্কজ লাম্বার সঙ্গে গত বছরেই গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে থাকতেন বিদেশেই। আচমকা উদ্ধার হয় সেই হর্ষিতার দেহ। শুরু থেকেই হর্ষিতার পরিবার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামীর দিকে আঙুল তুলেছে। এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। 

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হর্ষিতার মা দাবি করেছেন, হর্ষিতা মৃত্যুর আগে একাধিকবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, তাঁর স্বামী মেরে ফেলবে তাঁকে। পঙ্কজ মেয়েকে প্রায়শই মারধোর করত, এমনকি রাস্তাতেও, প্রকাশ্যে হর্ষিতার গায়ে হাত তুলেছে, মেয়ের থেকে তেমনটাই জেনেছিলেন, জানিয়েছেন কন্যাহারা বাবা-মা। পণের জন্য চাপ দিত বলেও অভিযোগ করেছেন হর্ষিতার মা।


১৪ নভেম্বর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় হর্ষিতার দেহ। গত বছর দিল্লির মেয়ের বিয়ে হয় পঙ্কজের সঙ্গে। বিয়ের পর, চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই স্বামীর সঙ্গে বিদেশে থাকতেন তিনি। পুলিশ প্রাথমিক অনুমানে জানিয়েছিল, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে হর্ষিতাকে। 


তাঁর মৃত্যুর প্রায় একমাস পর, মেয়ের জীবনের দুর্বিষহ ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর মা। পরিবারের অভিযোগ পঙ্কজের দিকে। হর্ষিতার মা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছেন, পঙ্কজ দিনে দিনে তাঁর মেয়ের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছিল। তাঁদের অভিযোগ, বর্তমানে পঙ্কজ এই দেশেই রয়েছেন। স্থানীয় পুলিশকে তাঁরা বারবার অভিযোগ জানাতে গেলেও, কোনও লাভ হয়নি বলেও জানিয়েছে পরিবার।