আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রিণল্যান্ডের বরফের চাদর। একে বলা পৃথিবীর দ্বিতীয় বরফের চাদর। তবে প্রতিদিন ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে বা বলা ভাল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই বরফ। সম্প্রতি একটি গবেষকরা এবিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। সেখান থেকে দেখা গিয়েছে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গ্রিণল্যান্ডের বরফ প্রতি সময় গলেছে বিশালভাবে।
 
 বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গ্রিণল্যান্ডের বরফ গলছে একথা সকলেই জানেন। তবে চিন্তার বিষয়টি হল এখানকার প্রতিটি বরফের মধ্যে বিরাট ফাটল দেখা গিয়েছে। এই ফাটলগুলি প্রতিদিন ধরে ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে এই বরফ গলতে যে সময় লাগত সেখান থেকে অনেক দ্রুত এই বরফ গলছে।
 
 ইতিমধ্যেই ১৪ মিমি সমুদ্রের জল বেড়েছে। তবে যদি এই হারে বরফ গলতে শুরু করে তাহলে সেখান থেকে সমুদ্রের জলের পরিমান আরও বাড়বে। ফলে বিশ্বের যেসব দেশ সমুদ্রতীরে রয়েছে তাদের কাছে এটি একটি বাড়তি চাপ। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত যে বরফের গলন ছিল সেখান থেকে তা বর্তমানে বেড়ে আরও দ্রুত হয়েছে। ফলে সেখান থেকে এই বরফের অংশগুলি দ্রুত জলের সঙ্গে মিশছে।
 
 এই ঘটনাকে আটকানোর কোনও রাস্তাই নেই। সেদিক থেকে দেখতে হলে বিশ্ব উষ্ণায়নকে ঠেকাতে হবে। যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই কাজকে করে চলেছেন। তবে প্রতিদিন যে হারে দূষণের মাত্রা হয়ে চলেছে সেদিক থেকে দেখতে হলে বরফের এই গলন রোখা প্রায় অসম্ভব। কীভাবে একে রোখা যায় সেই নিয়ে এখন চিন্তার ভাঁজ সকলের মধ্যে। 
 
 যদিও বিজ্ঞানীদের আরেক অংশ মনে করছেন বরফের এই গলন হতে আরও বহু বছর সময় লাগবে। তবে সেদিকে জোর না দিয়ে যদি সকলের মিলে পরিবেশের দিকে খেয়াল করি তাহলে এই পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়া যাবে। তবে একে রোখা প্রায় অসম্ভব। তাই যে হারে বরফ ভাঙন হয়ে চলেছে সেখানে অতি দ্রুত এই বরফ সমুদ্রের জলে গলে যাবে। 
