আজকাল ওয়েবডেস্ক: বছরে প্রায়ই ছুটি চাইছেন কর্মীরা। কারণ জিজ্ঞেস করলেই বলছেন, শরীর খারাপ। কেউ টানা দশদিন, কেউ বা একটানা দু'সপ্তাহ সিক লিভ নিচ্ছেন। একবছরে আদৌ কি কর্মীদের ঘনঘন এত শরীর খারাপ হচ্ছে? এবার খোঁজ চালাতে গোয়েন্দাদের নিযুক্ত করল একাধিক কোম্পানি। সিক লিভ নিয়ে কর্মীরা কী করছেন, কোম্পানিকে সবটা জানাবেন গোয়েন্দারা। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জার্মানির একাধিক নামী কোম্পানি এবার থেকে গোয়েন্দাদের চাকরি দিচ্ছে। কর্মীদের কর্মকাণ্ডের খোঁজ দেওয়াই এঁদের কাজ। ২০২৩ সালে জার্মানির জিডিপি ০.৮ শতাংশ হ্রাস পায়। অতিমারির পর থেকেই সিক লিভ নেওয়ার প্রবৃত্তি বেড়েছে কর্মীদের। দীর্ঘদিন ধরে কর্মীরা সিক লিভে থাকায়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বহু কোম্পানি। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে সিক লিভ নেওয়ার হার বেড়েছে। ২০২৫ সালে তা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

একাধিক কোম্পানি ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের কাজে লাগিয়ে জেনেছে, সিক লিভ নিয়ে অনেকেই পারিবারিক ব্যবসায় সময় দিচ্ছেন। কেউ ঘরের কাজ করছেন। কয়েকজন কর্মীকে পানশালা, রেস্তোরাঁতেও সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে। জার্মানির শ্রমিক আইন অনুযায়ী, বছরে ছ'সপ্তাহ পর্যন্ত সিক লিভ নিলে, কোনও বেতন কাটা যাবে না। এই সুযোগে দেদার সিক লিভ নিচ্ছেন কর্মীরা। যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোম্পানি। এবার সিক লিভ নিলে, আদৌ কর্মীরা অসুস্থ কিনা, তার খোঁজ দেবেন গোয়েন্দারা।