আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৩০ জুলাই, ভোরবেলা। প্রথম ভূমিধস ওয়েনাড়ের চুরালমালায়। চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি, জল ঢুকে গেছে বাড়িতে, পাথর, কাদামাটি হুড়মুড়িয়ে নেমে আসছে। চোখের সামনে এই পরিস্থিতি দেখেই কোনও মতে পালিয়ে একটি স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন নীতু জোজো ও আরও কয়েকজন। সেই সময়েই ভয়াবহ ভূমিধসের আঁচ পেয়েছিলেন নীতু। আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে উদ্ধারের জন্য তিনিই প্রথম ফোন করেছিলেন হাসপাতালে। যদিও উদ্ধারের আগেই সব শেষ।

ওয়েনাড়ের এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী ছিলেন নীতু। ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ফোন করে বলেছিলেন, 'চুরালমালায় ভূমিধস। আমরা একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। প্লিজ কাউকে পাঠান, আমাদের উদ্ধারের জন্য।' ফোন পেয়েই পুলিশ এবং অ্যাম্বুল্যান্সে খবর পাঠান ওই চিকিৎসক। তারপর নীতুর সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুল্যান্স টিম। ফোনে কথোপকথনের মাঝে আরও একটি ভূমিধস আঘাত হানে চুরালমালায়। তখনই সব শেষ। নীতুর সাহায্যের জন্যে আর্তনাদের মাঝে কেটে যায় ফোন। ভেসে যায় চুরালমালার সেতু। নীতুকে উদ্ধার করতে সেখানে আর পৌঁছতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল।

রবিবার সুচিমালা ঝর্ণার কাছে নীতুর দেহ উদ্ধার করা হয়। ভূমিধসের পর প্রাণে বেঁচে আছেন তাঁর স্বামী, মা ও খুদে সন্তান। নীতুর দেহ শনাক্ত করেছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, ভয়াবহ বিপর্যয়ের আঁচ পেয়েছিলেন নীতু। তিনিই প্রথম খবর দেন উদ্ধারকাজের জন্যে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই পরপর ভূমিধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গোটা এলাকা।