আজকাল ওয়েবডেস্ক: হরিয়ানার পানিপথ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি খালি ট্রেনের বগিতে এক ৩৫ বছর বয়সী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ঘটনার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনিপাতে, সেখানেই তাঁকে রেললাইনের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। চলন্ত ট্রেনের চাকায় ওই মহিলার একটি পা কাটা গিয়েছে বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা গত ২৪ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর স্বামী ২৬ জুন পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
তিনি জানান, সামান্য বিবাদের জেরে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। এমনকি, অতীতে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটলেও প্রতিবারই নিজে নিজে ফিরে এসেছিলেন তিনি। পরে মহিলা পুলিশকে জানান, এক ব্যক্তি তাঁকে একটি স্টেশনে গিয়ে জানায়, তাঁর স্বামী তাঁকে পাঠিয়েছেন। সেই ব্যক্তি মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে যান এবং পানিপথ স্টেশনের একটি খালি ট্রেনের বগিতে ওঠান। সেখানেই প্রথমে ওই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে আরও দুই ব্যক্তি এসে তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। গণধর্ষণের পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনিপথে। সেখানেই তাঁকে রেললাইনের ওপর ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পায়ের ওপর দিয়ে একটি ট্রেন চলে যাওয়ায় তাঁর একটি পা কেটে যায়।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা দোকানদাররা জানান, তাঁরা একজন মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে এসেছিলেন। স্থানীয়রা গিয়ে দেখতে পান রেললাইনের সুইচের কাছে এক মহিলা পড়ে আছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছা্য় রেল পুলিশ। প্রথমে তাঁকে সোনিপথ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে রোহতক পিজিআইতে স্থানান্তরিত করা হয় চিকিৎসার জন্য। মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তদন্তকারী আধিকারিক শ্রীনিবাস জানান, ‘আমরা গণধর্ষণের অভিযোগে একটি জিরো এফআইআর রুজু করে পানিপতথ জিআরপি-র হাতে তুলে দিয়েছি’। রেল পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক রাজেশ জানান, তাঁরা রবিবার সন্ধ্যায় জিরো এফআইআর পেয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে সিট গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
