আজকাল ওয়েবডেস্ক: এমন কাণ্ড ঘটতে পারে বলে দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। সকালে উঠে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেই হাড়-হিম সকলের। বাড়ির একটি ঘরে পড়ে রয়েছে তিন নাবালিকা ও এক নাবালকের গলা কাটা দেহ! মেঝেতে জমে গিয়েছে রক্ত। আর পাশের ঘরেই ঝুলছে এক যুবকের দেহ। সম্পর্কে ওই চার জনের বাবা এই যুবক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের রোজা থানার অন্তর্গত মানপুর চাচারি গ্রামে।

পাঁচ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর প্রতিবেশী ও আত্মীয়পরিজন পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিত তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী ব্যক্তি তাঁর চার সন্তানকে প্রথমে গলা কেটে খুন করার পর আত্মহত্যা হয়েছেন।

পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, মানপুর চাচারি গ্রামের বাসিন্দা রাজীব কুমার তাঁর তিন মেয়ে, স্মৃতি (১২), কীর্তি (৯), প্রগতি (৭) এবং পাঁচ বছরের ছেলে ঋষভকে প্রথমে খুন করেন। বুধবার রাতে তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কাটেন রাজীব। এরপর তিনি বাড়ির অন্য ঘরে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মঘাতী হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে রাজীবের বাবা এই হত্যার ঘটনাটি আবিষ্কার করেন। এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, "এ দিনসকালে রাজীব যখন দরজা খুললেন না, তখন তাঁর বাবা ছাদে উঠে সিঁড়ি দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারপরই সব জানাজানি হয়ে যায়।" 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">March 27, 2025

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, এক বছর আগে একটি দুর্ঘটনায় রাজীবের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। আঘাতের কারণে তিনি সহজেই উত্তেজিত হয়ে পড়তেন। তাঁর স্ত্রী গত মঙ্গলবার বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, রাজীব তাঁর সন্তানদের হত্যা করার আগে অস্ত্রে শান দিতে একটি স্যান্ডপেপার ব্যবহার করেছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র এবং স্যান্ডপেপার উদ্ধার করা হয়েছে।