আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর প্রদেশে এক ধর্মীয় প্রচারক এবং তাঁর সহযোগীদের জোরপূর্বক মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ইটাওয়া জেলার দণ্ডারপুর গ্রামের। সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁরা যাদব বর্ণের। রবি ও সোমবারের মাঝামাঝি গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। সোমবারই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য।
ভুক্তভোগীরা 'কথাবাচক' ছিলেন বলে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর৷ ঘটনার দিন 'ভাগবত কথা'র জন্য গ্রামে গিয়েছিলেন। এরপর তাঁদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। নিম্নবর্ণের মানুষ হিসেবে তাঁদের গায়ে প্রস্রাব ছিটিয়ে দেওয়া হয়৷ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় ভাগবত কথার পরে গ্রামবাসীদের দুজন তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁদের চুল কেটে দেওয়া হয়। ঘটনা জানাজানি হতে এক পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চুল কাটা ব্যক্তিকে শনাক্ত করে।
ভুক্তভোগীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইটাওয়া জেলার বাকেওয়ার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। চার অভিযুক্ত আশীষ তিওয়ারি, উত্তম কুমার অবস্থি, নিক্কি অবস্থি, মনু দুবেকে জেরা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণদের গ্রামে আসার জন্য শাস্তি হিসেবে এই ঘটনা৷ সন্ত সিং যাদব নামের ওই 'কথা বাচক' এককালে বেসরকারি স্কুল চালাতেন। সরকার স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি ভাগবত কথা পরিবেশনে নিজেকে নিযুক্ত করেন। 'কথা বাচক' মুকুট মণি যাদবের সহকারী হিসেবে কাজ করেন বর্তমানে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ইটাওয়ার বাকেওয়ার এলাকার দণ্ডারপুর গ্রামে ভাগবত কথা চলাকালীন শিল্পীদের অকারণে নোংরা কথা বলা হয়। জাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন। এলাকা 'পবিত্র' করতে তাঁদের চুল কেটে নাক ঘষে দেওয়া হয়৷
পুলিশ ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্তকে জেরা করেছে৷ চূড়ান্ত বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আন্দোলন করার কথা বলা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷
