আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনলাইনে মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে বিয়ের প্রতারণার ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি প্রতারণা করেছেন পঞ্চাশটিরও বেশি মহিলার সঙ্গে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুকিম খান। জানা গিয়েছে, অনলাইনে মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রথমে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতেন তিনি। তারপর তাঁদের থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতেন। এমনকি মুকিমের এই প্রতারণার ফাঁদে ফেঁসেছেন একজন বিচারকও। প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ

 

 

জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে মহিলাদের ফাঁসাতেন ওই ব্যক্তি। মূলত, ডিভোর্সী, অবিবাহিত মহিলাদের টার্গেট করতেন তিনি। নিজেকে সরকারি কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে স্ত্রী মারা যাওয়া তার মেয়ের যত্ন নিতে অক্ষম হওয়ার মিথ্যা গল্প ফাঁসিয়ে মূলত জাল ফেলতেন তিনি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়িতে স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে। মহিলাদের সঙ্গে পরিচয় করে স্ত্রী এবং কন্যার ছবি শেয়ার করতেন তিনি। এমনকি কয়েকজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিয়ের তারিখও ঠিক করেন। বিশ্বাস অর্জন করে বিয়ের হল বুক করার জন্য বা বিয়ের অন্যান্য খরচের জন্য টাকা চাইতেন।

 

 

তারপরই পালিয়ে যেতেন। জেরায় মুকিম জানিয়েছেন, সারা দেশে ৫০টিরও বেশি মহিলাকে প্রতারণা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের একজন মহিলা বিচারকও তার শিকার হয়েছেন। প্রথম ২০২০ সালে তিনি এই ঘটনা ঘটান। তারপর থেকে কখনও দিল্লি, কখনও ভাদোদরা, কখনও উত্তরপ্রদেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। কারোর থেকে টাকা, কারোর থেকে মোবাইল ফোন, কারোর থেকে গয়না, এমনকি বাইকও নিয়েছেন তিনি।