আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ২৪ বছরের এক যুবতী তাঁর স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। অভিযোগের তির তাঁর স্বামী রণজিৎ প্যাটেলের দিকে। যুবতীর নাম নেহা প্যাটেল৷ রণজিৎ নাকি সারাদিন মোবাইলে পাবজি খেলতেন। নেহা তাঁকে কাজ খুঁজতে বললেই শুরু হতো ঝগড়া। সেই ঝগড়ার জেরেই শনিবার গভীর রাতে রণজিৎ একটি তোয়ালে দিয়ে নেহার গলা টিপে খুন করেন। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ছ'মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তদন্তকারীরা বলছেন, রণজিৎ পাবজি গেমে অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন। কাজ না করা এবং সারাক্ষণ গেম খেলার কারণে দুজনের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো।
খুনের পর অভিযুক্ত তার শ্বশুরবাড়ির এক সদস্যকে মেসেজ পাঠিয়ে বলেন, "নেহাকে মেরে ফেলেছি, এসে নিয়ে যাও।" খবর পেয়ে নেহার পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। এসে দেখেন নেহা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এর পরই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পরে ডিএসপি উদিত মিশ্র মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বাড়ির ভিতরে মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছে। গলায় দড়ি দিয়ে বা কিছু পেঁচিয়ে মারার স্পষ্ট দাগ রয়েছে। স্বামী পালিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, পাবজি খেলার আসক্তি নিয়ে খুব ঝামেলা হতো। অভিযুক্তকে ধরার জন্য সবরকম চেষ্টা চলছে।”
নেহার পরিবারের আরও অভিযোগ, রণজিৎ এবং তাঁর বাড়ির লোকেরা পণ চাইত। তাঁরা বলেন, আগেও টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও রণজিৎ একটি গাড়ির জন্য চাপ দিত। নেহাকে দিনের পর দিন নির্যাতন করত। নেহার ভাই শের বাহাদুর প্যাটেল পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখনও কাউকে ধরা হয়নি। আমার দিদির বিয়ে এই বছরের ২৫ মে হয়েছিল। অভিযুক্ত পণ চাইত এবং কাজ করা ছেড়ে দিয়েছিল। যখন দিদি কাজ খুঁজতে বলে, সে তখন ঝগড়া করে মেরে ফেলে। খুন করে সে মেসেজ করে জানায়, ‘ওকে ফিরিয়ে নাও, আমি মেরে ফেলেছি। এবার যা খুশি করো।’”
শের বাহাদুর স্বামী ছাড়াও তাঁর বাবা-মা, ভাই, এবং বৌদি- সকলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওরা সবাই মিলে দিদিকে কষ্ট দিত। আমরা বিচার চাই।” পুলিশ জানিয়েছে, তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে বিভিন্ন দল কাজ করছে। বর্তমানে নেহার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
