আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভুয়ো নথি দিয়ে সরকারি চাকরি। সেই নথি দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে বছরের পর বছর চাকরি করলেন যমজ বোন। ১৮ বছরে শিক্ষকতা করেই আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। ভুয়ো নথি দিয়ে স্কুলের চাকরির কেচ্ছা অবশেষে ফাঁস হল। যমজ বোনের কুকীর্তি ফাঁস করল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায়। জানা গেছে, গত ১৮ বছরে দুই জায়গার আলাদা আলাদা স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন যমজ বোন। দু'জনের নামই রেশমি। তাঁদের ছবি, নাম, কলেজের মার্কশিট, আধার কার্ড সহ সমস্ত নথি ছিল এক। ফলে কেউই কিছু টের পাননি। সম্প্রতি ট্রান্সফার অ্যাপ্লিকেশন করতেই শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই যমজ বোনের কেচ্ছা ফাঁস হয়। 

জানা গেছে, একজনের সমস্ত আসল নথি, অন্যজন জেরক্স করে স্কুলের চাকরির আবেদন করেছিলেন।‌ জেলায় দু'টি ভিন্ন স্কুলে দু'জনেরই চাকরি হয়। ১৮ বছর চাকরি করেছেন তাঁরা। প্রায় দেড় কোটি টাকা উপার্জন করেছেন দু'জনে মিলে। যিনি ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি করেছেন, ইতিমধ্যেই ৮০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন। 

ভুয়ো নথি দিয়ে সরকারি চাকরির কেচ্ছা ফাঁস হতেই একজন স্কুলে ইস্তফা জমা দেন। অন্যজন চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। রেশমি নামের যমজ বোনকে সাসপেন্ড করেছে মধ্যপ্রদেশের শিক্ষা দপ্তর।