আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার রাতে বেঙ্গালুরুতে প্রকাশ্যে এক নির্মম ঘটনা ঘটেছে৷ ঘটনাটি মোদী হাসপাতাল জংশনের কাছে ঘটে৷ হাসপাতাল চত্বরের একটি ট্রাফিক সিগন্যালে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক এক সুইগি ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে চরম অপমান করে। বিভিন্নভাবে লাঞ্চনা করা হয় বলে অভিযোগ৷ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনা স্পষ্টতই একটি সড়ক ক্ষোভের ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। পুরো ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই উত্তাল নেটপাড়া। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনাটি ধারণ করা গিয়েছে৷ ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে রেড সিগন্যালে গাড়ি থামানোর সময় ডেলিভারি বয়ের গাড়ির পিছনে একটি গাড়ি হর্ন বাজায়। এরপর গাড়ির যাত্রীরা তাঁকে এগিয়ে যেতে বলে। জানা গিয়েছে ভুক্তভোগী অর্থাৎ ডেলিভারি বয় ট্রাফিক সিগন্যাল যথাযথভাবে অনুসরণ করছিলেন। কিন্তু এরপরই অভিযুক্ত গাড়ির যাত্রীদের সঙ্গে শুরু তাঁর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। বচসা চরম আকার ধারণ করতেই ঘটে বিপত্তি। মৌখিক পর্যায় অতিক্রক করে এটি হাতাহাতিতে পরিণত হয়। 

খবর সূত্রে, এরপর গাড়িতে থাকা তিন অভিযুক্ত তাদের গাড়ি থেকে আচমকা নেমে আসে। ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে এলোপাতাড়ি চড় ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। ঘটনার জেরে যুবল রাস্তার ধারেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান। কী করবে দিশা না পেয়ে আক্রমণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায়।

এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় যুবক বাসবেশ্বরনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুরো ঘটনা শুনে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে তারা দ্রুত তদন্ত শুরু করবেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ 

যুবকের বয়ান অনুযায়ী, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস যে আক্রমণকারীরা মাতাল অবস্থায় ছিল। সাম্প্রতিককালে বেঙ্গালুরুতে ডেলিভারি কর্মীদের সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা একেবারে নতুন নয়। একই ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।

গত মাসে একই এলাকায় একটি জেপ্টো ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে বিবাদ তুঙ্গে ওঠার খবর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সেই বিবাদও চরম হাতাহাতির জায়গায় পৌঁছয় বলে জানা গিয়েছে৷ এরপর আরেকজন ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ তার নিয়মিত ড্রপ-অফের সময় এক গ্রাহককে চূড়ান্ত লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মাত্র চার বছরের শিশুকে নিয়ে মাদক কিনতে গিয়েছিল! হায়দ্রাবাদের দম্পতির কাহিনি শুনলে চমকে যাবেন

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকটি নির্মম ঘটনা ঘটে।  একজন সুইগি জিনি ডেলিভারি এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তার কাছ থেকে জিনিস সংগ্রহের সময় ২৪ বছর বয়সী এক যুবককে হয়রানির শিকার হতে হয়। পরে তিনি এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা পুলিশের মানবিক রূপ! মৃত্যুর মুখ থেকে ছয় নাবালককে উদ্ধার, ফিরে পেল পরিবার

অন্যদিকে আরেক অভিযোগকারী অভিযোগ করেন তাঁকে ডেলভারি দিতে আসা এক এজেন্ট  তাঁর বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট যৌন মন্তব্য করেছেন। পুলিশ বর্তমানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে পূর্ণ তদন্ত চালানোর কথা বলছে।