আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজে এক রোগীকে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক রাঘব নারুলাকে ইতিমিধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় তাঁর মনে কোনও অনুশোচনা নেই বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসক। যা ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে ডঃ নারুলা পাল্টা দাবি করেছেন যে, ওই রোগীই প্রথমে তাঁকে ও তাঁর বাবা-মাকে গালিগালাজ করেন। এমনকী লোহার রড নিয়ে তাঁকে মারতে এসেছিলেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন ওই চিকিৎসক।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, চিকিৎসক রোগীর হাত থেকে একটি রড কেড়ে নিয়ে তাঁকে মারধর করছেন। বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় ওই রোগীকে বারবার আঘাত করতে দেখা যায় ভিডিওতে। এই ঘটনার পর হাসপাতালের সামনে ভিড় জমে যায়। পাশাপাশি অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে।

আক্রান্ত রোগী অর্জুন পানওয়ার জানান, সেদিন তাঁর ব্রঙ্কোস্কপি হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তিনি পাশের একটি ওয়ার্ডে শুয়ে পড়েন। অর্জুনের অভিযোগ, "আমি অক্সিজেন চাইলে ওই ডাক্তার 'রুড' আচরণ শুরু করেন। আমি তাঁকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে বলায় তিনি আমাকে 'তুই-তোকারি' করেন। এর প্রতিবাদ করতেই তিনি আমাকে মারতে শুরু করেন।"

অন্যদিকে ডঃ নারুলার দাবি, অর্জুনকে দেখে তিনি বলেছিলেন, "তোকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে।" এই 'তুই' সম্বোধন শুনেই রোগী মেজাজ হারিয়ে রড নিয়ে তাঁর ওপর চড়াও হন। আত্মরক্ষা করতেই তিনি পাল্টা মারধর করেছেন বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷