আজকাল ওয়েবডেস্ক : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ক্রেডিট কার্ড বিল দেরিতে পরিশোধের উপর আরোপিত ৩০% সুদের সীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ভারতের ভোক্তা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়, যা ক্রেডিট কার্ড ঋণের নীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ক্রেডিট কার্ড বিলের দেরি হলে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ৩০% সুদের সীমা আরোপ করতে বাধ্য করেছিল। এই সীমা গৃহীত হয়েছিল যাতে গ্রাহকরা উচ্চ সুদের হার ও অতিরিক্ত জরিমানা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন এবং তাদের আর্থিক অবস্থার উপর অস্বাভাবিক চাপ না পড়ে।

 


কিন্তু কিছু ব্যাঙ্ক এই সীমার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করে। তাদের যুক্তি ছিল যে এই সুদের সীমা ক্রেডিট ঝুঁকি ও ঋণের ব্যয়ভার কমিয়ে দিচ্ছে এবং তারা যথাযথভাবে ঋণ মুনাফা করতে পারছে না।

 


আদালত এই ৩০% সুদের সীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারীরা দেরিতে পরিশোধের জন্য সুদের হার নির্ধারণে বেশি স্বাধীনতা পাবে। এর অর্থ হল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি দেরি হওয়া বিলের উপর বেশি সুদ বা জরিমানা আরোপ করতে পারবে, যা গ্রাহকদের জন্য খরচ বাড়াতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ভবিষ্যতে ক্রেডিট কার্ড ফি এবং সুদের হার সম্পর্কিত তার নীতি পর্যালোচনা করতে পারে।

 


এবার প্রশ্ন হল এরফলে কতটা প্রভাবিত হতে পারেন গ্রাহকরা। যারা ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো পরিশোধ করেন না বা ব্যালেন্স রাখেন, তারা এখন বেশি সুদ দিতে হতে পারে। যারা ইতিমধ্যেই আর্থিক সমস্যায় আছেন বা দেউলিয়া হওয়ার পথে, তাদের উপর আরও চাপ পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি সুদের হার বৃদ্ধি পায়।

 


ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলি এই রায়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদি সুদের হার বা জরিমানা বাড়ানো হয়, তাহলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির লাভ বৃদ্ধি পেতে পারে।