আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের ঠিক পাঁচদিন পরেই রাজা রঘুবংশীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। ক্যাফেতে গিয়ে দেখা করেছিলেন সোনম রঘুবংশী ও রাজ কুশওয়াহা। এরপরই তিন বন্ধুকে ভাড়াটে খুনি সাজিয়ে নিপুণভাবে খুনের ছক কষেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১১ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজা ও সোনম। এর ঠিক পাঁচদিন পর রাজ তাঁর ছোটবেলার তিন বন্ধু আনন্দ, আকাশ ও বিশালকে একটি ক্যাফেতে ডাকেন। রাজাকে খুনের পরিকল্পনা জানান। এমনকী বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়েছিলেন তাঁদের।
২০ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে রওনা হন রাজা ও সোনম। হাতে ছিল শুধুমাত্র যাওয়ার টিকিট। ফেরাটা ছিল অনিশ্চিত। তাঁদের পিছু নিয়েছিলেন বাকি তিনজন। গুয়াহাটি পৌঁছেই শিলংয়ে চলে যান তিন ভাড়াটে খুনি। সোনম ও রাজার হোমস্টের পাশেই একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা।
শিলং পৌঁছে তিনদিন পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে বেড়ান সোনম ও রাজা। ২৩ মে একটি নির্জন এলাকায় ফটোশুটের ছুতোয় রাজাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। সেই জায়গায় পৌঁছন আনন্দ, আকাশ ও বিশাল। এমনকী রাজার সঙ্গে হিন্দিতে কথাও বলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, সেই এলাকায় পৌঁছে সোনম জানান, তিনি ক্লান্তি বোধ করছেন। ক্লান্ত হওয়ায় রাজার পিছনে পিছনে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটছিলেন। আরও খানিকটা হাঁটার পর আরও শুনশান একটি জায়গায় পৌঁছে যান পাঁচজনে। সেখানেই রাজাকে খুন করার জন্য চিৎকার করে তিনজনকে ডাকেন। মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজ মেঘালয়ে যাননি। কিন্তু গোটা খুনের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। মধ্যপ্রদেশে বসেই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপ মারফত সোনমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
