আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময়টা ১৯৪৭ সাল। দেশভাগের আবহে ভারতের এক নিরাপদ জায়গায় ছোট্ট সন্তানকে লুকিয়ে রেখে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন মা। তারপর আর খোঁজ মেলেনি খুদে সন্তানের। চারিদিকে হাহাকার, আর্তনাদ। কে কোথায় পাড়ি দিয়েছে, জানার উপায় ছিল না। পরিবার তখন শতহস্ত দূরে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হতেই আলি খান হয়ে গেলেন ছোটা সিং।
দীর্ঘ ৭৭ বছর পর অবশেষে পাকিস্তানে পরিবারের কাছে ফিরলেন আলি খান। এতকাল ছোটা সিংয়ের পরিচয়ে ভারতে ছিলেন তিনি। এবার ভিসা পেতেই বৃদ্ধ আলি খান চললেন পরিবারের কাছে। বর্তমানে মা, ভাই কেউই আর বেঁচে নেই। পাকিস্তানে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের অল্প কয়েকজন আত্মীয়ই আছেন।
কীভাবে পরিবারের সন্ধান পেলেন তিনি? এর নেপথ্যেও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কাহিনি শেয়ার করেছিলেন ওই বৃদ্ধ। বৃদ্ধ জানান, পাঞ্জাবের একটি জায়গা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছিলেন গুলজার সিং নামের এক ব্যক্তি। তখন তাঁকে দত্তক নেন তিনি। নাম রাখেন ছোটা সিং।
বৃদ্ধের সেই কাহিনি জানতে পারেন পাকিস্তানি এক ইউটিউবার। তিনি পাকিস্তানের তোবা টেক সিং এলাকারই বাসিন্দা। ওই এলাকাতেই থাকেন বৃদ্ধের আত্মীয়রা। ছোটা সিংয়ের কাহিনি তাঁদের জানান ওই ইউটিউবার। এরপরই আলি খানকে চিনতে পারেন তাঁরা। পরিবারের সঙ্গে আলি খানের যোগাযোগ করিয়ে দেন ওই ইউটিউবার। কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা পান ছোটা সিং। অবশেষে আলি খান ফিরলেন পাকিস্তানে।
