আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য সুযোগ নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি ব্যাঙ্কটি ঘোষণা করেছে “প্লাটিনাম জুবিলি আশা স্কলারশিপ ২০২৫-২৬” কর্মসূচি, যার আওতায় স্কুল, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, মেডিক্যাল, আইআইটি, আইআইএম ও বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পেতে পারবেন। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রার্থীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসসি/এসটি প্রার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ নম্বরের ছাড় দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, মোট আসনের ৫০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের জন্য এবং ৫০ শতাংশ এসসি/এসটি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

আয়সীমা

স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না।

অন্য সব স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।


বৃত্তির পরিমাণ

নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা কোর্স ও পড়াশোনার স্তরের ওপর ভিত্তি করে ১৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন।


আবেদনের শেষ তারিখ

আবেদনকারীদের অবশ্যই ১৫ নভেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথি

আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিম্নলিখিত নথিপত্র জমা দিতে হবে:

সাম্প্রতিক মার্কশিট

পরিচয়পত্র

বর্তমান বছরের ফি রশিদ

আবেদনকারী বা অভিভাবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ

আয়ের প্রমাণপত্র

ভর্তির প্রমাণপত্র

প্রয়োজনীয় নথির ফটোগ্রাফ

জাতিগত সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)

আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে গৃহঋণ নিচ্ছেন, পরে বিবাহবিচ্ছেদ হলে কী হবে? জানুন নিয়ম


কিভাবে আবেদন করবেন?

১. প্রথমে ভিজিট করুন সরকারি ওয়েবসাইটে: sbiashascholarship.co.in


২. হোমপেজে গিয়ে আপনার পছন্দের পড়াশোনার স্তরের নিচে “Apply Now” বোতামে ক্লিক করুন।


৩. পুনরায় “Apply Now” বেছে নিয়ে মোবাইল নম্বর বা জিমেইল আইডির মাধ্যমে রেজিস্টার করুন।


৪. আবেদন ফর্ম পূরণ করুন, প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন এবং শর্তাবলীতে সম্মতি জানান।


৫. শেষে আবেদনটি রিভিউ করে সাবমিট করুন।


৬. এর মাধ্যমে আপনার স্কলারশিপের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে।

এসবিআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা যাতে বিস্তারিত যোগ্যতার মানদণ্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে জানতে পারেন, সে জন্য নিয়মিতভাবে সরকারি ওয়েবসাইটে ভিজিট করা উচিত। এই উদ্যোগটি দেশের হাজার হাজার মেধাবী ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।