আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাখনের মতন মসৃণ প্রসস্ত রাস্তা। দু'পাশে সারিবদ্ধ গাছ। মনে করছেন তো, এই সড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে নিশ্চিন্তে চলবে গাড়ি। এতেই বড় বিভ্রান্তি। কারণ এই সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে পেল্লাই সব গাছ। সেগুলি আবার সারিবদ্ধভাবে নয়। সড়কের নানা জায়গায় এগুলির অবস্থান। ফলে দারুন সমস্যায় পড়েছেন গাড়ি চালকরা। একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনা নিশ্চিৎ। বাস্তবেও ঘটছে তাই। 

ভয়ঙ্কর এই রাস্তা রয়েছে রাজধানী পাটনা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বিহারের জেহানাবাদে। পাটনা-গয়া প্রধান সড়কের জেহানাবাদের এই রাস্তার দৈর্ঘ্য ৭.৪৮ কিলোমিটার। এই সড়ক ১০০ কোটি টাকা দিয়ে চৈরি ও চওড়া করা হয়েছে।  

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 29, 2025

এই গাছগুলি তো আর রাতারাতি বেড়ে ওঠেনি। তাহলে রাস্তা তৈরির সময় কেন বিষয়টি নজর দেওয়া হল না? জেলা প্রশাসন যখন ১০০ কোটি টাকার রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প হাতে নেয়, তখন তারা গাছ সরানোরর অনুমতি চেয়ে বন বিভাগে আবেদন জানায়। কিন্তু, তাদের ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়। বিনিময়ে, বনবিভাগ ১৪ হেক্টর বনভূমির ক্ষতিপূরণ দাবি করে। যা দিতে অস্বীকার করে জেলা প্রশাসন। এরপরই জেলা প্রশাসন অদ্ভুত পদক্ষেপ করে। তারা গাছগুলিকে না কেটে বা সরিয়ে রাস্তা তৈরি করে দেয়।

বিরোদীদের অভিযোগ, মানুষকে মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে দিতে ১০০ কোটি টাকা রাস্তা বানানো হয়েছে।

রাস্তার মাঝখানে গাছ থাকার কারণে ইতিমধ্যেই অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরও একজন পথচারীর আশঙ্কা, "জেলা প্রশাসন গাছগুলি সরানোর  জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।"

যদি কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং কেউ মারা যান তবে কে দায়ী থাকবে? এটির জবাব অবশ্য মেলেনি।