আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর থেকে, আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুণ। সেই আতঙ্কই আবার ফিরে এল পুরীর ঘটনায়। জঙ্গিদের নজরে পুরীর জগন্নাথ মন্দির! ধ্বংস করে দেওয়া হবে তা! এমনই এক দেওয়াল লিখন ঘিরে জোর প্রশ্ন। আতঙ্ক ভক্তদের মনে।

 

ওড়িশার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূরে খবর, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অদূরে ওই হুমকি লেখা হয়েছিল একটি দেওয়ালে। মূলত ওড়িয়া এবং ইংরেজি, দুই ভাষায় লেখা হয়েছিল তা। জানা যায়, পুরী জগন্নাথ মন্দিরে বুধীমা ঠাকুরানি মন্দিরের গায়ে লেখা হয়েছিল জঙ্গি হামলার হুমকি। সেখানকার লাইটও ভেঙে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন: ঘরবাড়ি ভাঙার পর এবার ভোটাধিকার কেটে দেওয়ার অভিযোগ, ভয় ও অনিশ্চয়তায় আসামের ৩,৮০০ মুসলিম পরিবার ...

বুধবার সকালে পুরীর কয়েক শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরের দেওয়ালে দুই ভাষায় লেখা হুমকিবার্তা পাওয়া গিয়েছে। আঁকাবাঁকা হস্তাক্ষরে খোদাই করা ওই বার্তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার সকলেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই ভাষায় দেওয়ালে লেখা হয়েছিল যা, তার মর্মার্থ এই, ওই মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গেই বেশকিছু ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিতে ফোন করার কথা বলা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।

ঘটনা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে মন্দির চত্বর জুড়ে। একই সঙ্গে প্রশ্ন জাগে একাধিক। পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং তৎসংলগ্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়া সত্বেও কীভাবে মন্দির চত্বর, সংলগ্ন এলাকায় এই ধরনের হুমকি লিখে দিয়ে গিয়েছে। কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, উদ্দেসজ্য আসলে কী তা নিয়েও চলছে খোঁজ। 

পুরীর মন্দির নিয়ে এর আগেও কম বিতর্ক হয়নি। নানা সময়ে নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন জেগেছে একাধিক। তবে এভাবে হামলার হুমকি! ঘটনা শুনেই আতঙ্ক ছড়য়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। আতঙ্কত হয়ে পড়েন পর্যটক, ভক্তরাও। 

ঘটনা প্রসঙ্গে পুরীর পুলিশ সুপার পিনাকী মিশ্র বলেন, 'আজ সকালে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছি, যে কিছু লেখা হয়েছে, এবং তদন্তের পর আমরা এমন কিছু লেখা পেয়েছি যা মন্দিরের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমাদের বিশেষ দল বিষয়টি তদন্ত করছে, এবং আমরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছি। পুলিশ বেশকিছু সূত্র পেয়েছে।' 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 13, 2025

 

তবে,   প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম রঘুনাথ সাহু বলে জানা গিয়েছে। পুরীর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,  'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি যে সে একজন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি। সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে সে এটি লিখেছে। তবে কখন এবং কেন সে এটি লিখেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। তার শারীরিক নানা পরীক্ষা করা হচ্ছে।' মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাকে আর বেশ কয়েকদফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ মনে করছে, পারিবারিক কারণেই ব্যক্তির মানসিক ভারসাম্যচ বিঘ্নিত হয়েছে।