আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ফের একবার বিকশিত ভারতের রূপরেখা বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০৪৭ সালের মধ্যে গোটা দেশে বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করার দিকনির্দেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, আমরা সঠিক দিকেই এগিয়ে চলেছি। করোনার মত মহামারিকে আমরা পরাজিত করেছি। আমাদের দেশের নাগরিকদের মধ্যে উৎসাহ এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। দেশের প্রতিটি রাজ্য যদি একযোগে উন্নতির কাজ করে তবে বিকশিত ভারতের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে হবে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে নানা ধরণের সুযোগ রয়েছে। বিগত ১০ বছরে দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। নানা ধরণের নীতি বলবৎ করা হয়েছে। এই সবই দেশকে আগামীদিনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মধ্যে ভারত এক অন্যতম। এই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

নীতি আয়োগের বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এদিন ছিলেন। তাঁদের সামনেই এদিন বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এনডিএ জোটের অন্যতম শরিক নীতীশ কুমার এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া বিরোধী শিবিরের বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীও এদিনের বৈঠকে যোগদান করেননি।

যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বক্তব্য রাখার সময় তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনিও বৈঠক বয়কট করেন। যদিও এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মমতার কথা বলার সময় পার হয়ে গিয়েছিল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর ফের তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া হত।