আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জেরে গোটা দেশে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ফের কাশ্মীরের বুকে ফিরেছে রক্তাক্ত দিনগুলি। আর এবার এই ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই ঘটনার তদন্তে নামে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা, গোয়েন্দা বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। তারা সকলে মিলে যে তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে বহু আগে থেকেই এই পরিকল্পনার ছক করা হয়েছিল। হামলাকারী জঙ্গিরা আধুনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল। তাদের কাছে বিশেষ প্রশিক্ষণ ছিল। হামলার পর কোন পথে পালিয়ে যেতে হবে সেটাও তারা আগে থেকেই জানত।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলে জঙ্গিরা এই ধরণের একটি হামলা চালাতে পারত না বলেই জানিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনার সদস্যরা স্লিপার সেলের সদস্য হতে পারে বলেও অনুমান করছেন তারা। গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে আসরে নেমেছিল জঙ্গিরা। ফলে তাদের মিশন ফেল করার কোনও পথ ছিল না। ফলে জঙ্গিদের শিকার হতে হয় অসহায় পর্যটকদের।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লস্কর ই তৈবার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ। তারা একটি বিবৃতি দিয়ে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনাকে তারা কাশ্মীরের বুকে একটি সফল গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছে।
বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে গিয়ে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে সেনার উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গেও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল পর্যটক পিকনিকের মুডে ছিল। সেখানেই হঠাৎ করে হামলা করে জঙ্গিরা। মৃতদের মধ্যে দুজন বিদেশী পর্যটকও রয়েছেন।
জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুতে উপত্যকায় বুধবার বন্ধ পালিত হচ্ছে। গত ৩৫ বছরে যা প্রথম। জঙ্গিহানায় নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ায় বন্ধের ডাকা হয়েছে। জঙ্গিহানায় মৃত্যুর ঘটনায় এভাবে বন্ধ ৩৫ বছরে উপত্যকায় হয়নি। পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই বন্ধকে সমস্ত সংগঠনগুলি সমর্থন জানিয়েছে।
