আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাকের দুল দেখেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল দিল্লি পুলিশ। নর্দমা থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধারের একমাস পর ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করল তারা। খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাড়ির পরিচারকও। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ মার্চ। দ্বারকায় ৪৭ বছরের সীমা সিংয়ের দেহ ড্রেন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি বিছানার চাদরে মোড়া ছিল। বাঁধা হয়েছিল তার দিয়ে। দেহটি উদ্ধার করেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু যুবতীর নাম, পরিচয় তখনও জানা যায়নি। 

 

যুবতীর নাকের দুলের হলমার্কের চিহ্ন দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। হলমার্কের সেই চিহ্ন কোন দোকানের খুঁজে বের করে তারা। কবে, কে এই নাকের দুল কিনেছিলেন, তা অবশেষে জানা যায়। এরপর যুবতীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে পুলিশ। পরিবারের তরফে তখনই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সীমার দেহ শনাক্ত করে। 

 

তদন্তে নেমে প্রথমেই বাড়ির পরিচারককে জেরা করে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয় সে। খুনের পর থেকে পলাতক ছিল সীমার স্বামী অনিল। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অবশেষে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গুরুগ্রামের এক মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে অনিলের। এই সম্পর্ক ঘিরে সীমার সঙ্গে অশান্তি হত। অবশেষে পরিচারকের সঙ্গে মিলে সীমাকে খুন করে ড্রেনে ফেলে দেয়।