আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য জাতিগতভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের দেওয়া ন্যাশনাল ওভারসিজ স্কলারশিপ (NOS) সংক্রান্ত বিতর্কে অবশেষে পিছু হটল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে অর্থাভাবের কথা বলে যে ৬৬ জন নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীর প্রোভিশনাল স্কলারশিপ চিঠি withheld রাখা হয়েছিল, এবার তাঁদের সকলকেই স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বদলের পেছনে রয়েছে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা এবং ছাত্র সংগঠনগুলির লাগাতার প্রতিবাদ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ সমাজ কল্যাণ ও অধিকারের মন্ত্রককে জানায়, বিশেষ একবারের ছাড় হিসেবে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ন্যাশনাল ওভারসিজ স্কলারশিপ প্রকল্পের জন্য ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

 আরও পড়ুন: সুরা প্রেমীদের মাথায় হাত! এবার থেকে মদ্যপানের মাত্রা ঠিক করে দেবে আদালত? জনস্বার্থ মামলার রায় দিল কোর্ট

NOS প্রকল্পটি ১৯৫৪-৫৫ সাল থেকে চালু হয়েছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে তফসিলি জাতি (SC), ডিনোটিফায়েড ও সেমি-নোমাডিক উপজাতি, ভূমিহীন কৃষিশ্রমিক ও ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পী শ্রেণির পড়ুয়ারা বিদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি পড়ার জন্য আর্থিক সহায়তা পান। যাঁদের বার্ষিক পারিবারিক আয় ৮ লক্ষ টাকার নিচে, তাঁরাই এই স্কলারশিপের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হন। স্কলারশিপে টিউশন ফি, বসবাস খরচ এবং একবারের বিমান যাতায়াত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। চলতি বছরে মোট ১০৬ জন পড়ুয়া এই স্কলারশিপে নির্বাচিত হন। তবে, প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রক মাত্র ৪০ জনকে স্কলারশিপ চিঠি দেয়। বাকি ৬৬ জনকে জানানো হয় যে অর্থ না থাকলে তাঁদের চিঠি জারি করা সম্ভব নয়। এর পরেই দেশজুড়ে ক্ষোভ দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: মজা করতে গিয়ে কেলেঙ্কারি! বান্ধবীর প্রেগন্যান্সি কিট ব্যবহার করতে গিয়ে ক্যান্সার ধরা পড়ল প্রেমিকের!

লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই সিদ্ধান্তকে “বাহুজন শিক্ষার প্রতি বিজেপির প্রকাশ্য বিদ্বেষ” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “এটি কেবল অবিচার নয়, বরং মোদি সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্ত। এই ৬৬ জন ছাত্রছাত্রীকে বিদেশে পাঠাতেই হবে। শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।” অবশেষে সরকারের এই ইউ-টার্ন অনেকেরই লড়াইকে স্বীকৃতি দিল বলেই মনে করছে ছাত্র সমাজ। শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীদের মতে, এই ঘটনা কেবল আর্থিক নয়, রাজনৈতিক বঞ্চনার উদাহরণও বটে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বাহুজন পড়ুয়াদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ জয় বলে ধরা হচ্ছে।