আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারে বিরুদ্ধে তোপ দেগে এমনই অভিযোগ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২০১৯ সালের অগাস্টে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে জম্মু-কাশ্মীরে জোর করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দিল্লিতে একটি আলোচনাসভায় ওমর উপত্যকায় ২০১০ সালের ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন। জানান, ২০১০ সালে বিক্ষোভের সময় ২০০ জনেরও বেশি যুবক নিহত হয়েছিলেন। সেই সময় প্রশাসনের ভূমিকার সঙ্গে ও সাম্প্রতিককালের তুলনা টানেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "৩৭০ ধারা বাতিলের পরে কাশ্মীর উপত্যকায় জোর করে স্বাভাবিকতা ফেরানোর চেষ্টা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও স্বতস্ফূর্ততা ছিল না। ছিল বলপ্রয়োগ।" তাঁর দাবি, "শব-ই-বরাতের দিন শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, |"যদি ভয় দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তার প্রভাব কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হতে বাধ্য।"
ওমর আবদুল্লা তাঁর বক্তব্যকে পোক্ত করার জন্য হুরিয়ত চেয়ারপার্সন মিরওয়াইজ উমর ফারুককে জামা মসজিদে তাঁর শ্বশুরের জানাজার নামাজ পরিচালনা করার অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। বলেন, "যদি তাঁরা মনে করে যে এটি স্বাভাবিক, তাহলে তারা মিরওয়াইজ ফারুককে তাঁর শ্বশুরের জানাজা থেকে বিরত রাখতে জামা মসজিদ বন্ধ করে দিত না। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন। অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে না, বরং ওইঅ পদক্ষেপে স্বাভাবিক অবস্থা জোর করে ভাঙা হয়েছিল। আজ জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশে যা চলছে স্বাভাবিক অবস্থা নয়, জোর করে স্বাভাবিক অবস্থা বলা হচ্ছে।"
নির্বাচিত সরকার পেলেও জম্মু ও কাশ্মীর পুরোপুরি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত নয়। এর আগে ওমর আবদুল্লা যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন তখন জম্মু ও কাশ্মীর ছিল পূর্ণ রাজ্য। পুলিশ, আমলাদের মোতায়েন থেকে বদলি করার দায়িত্ব ছিল রাজ্যেরই হাতে। কিন্তু এখন জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ফলে পুলিশ ও আমলাদের মোতায়েন করার ক্ষমতা উপ-রাজ্যপালের (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) হাতে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা না থাকলে তা জনাদেশের প্রতি মর্যাদারপূর্ণ নয় বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
