আজকাল ওয়েবডেস্ক: নর্দমা থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগ্ন তরুণীর মুণ্ডুহীন শরীর। ছিল না হাতের তালুও। নয়ডার সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কিনারা এক সপ্তাহের মধ্যেই। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন করা হয়েছিল তরুণীকে। খুনের অভিযুক্ত প্রেমিককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম, মনু সোলাঙ্কি। পেশায় সে একজন বাস চালক। সে বিবাহিত ছিল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ হাজার সিসিটিভি ফুটেজ, এক হাজারের বেশি যানবাহন, ৪৪টি সন্দেহভাজন গাড়ির চালকের গতিবিধি খতিয়ে দেখে তারা। প্রীতি যাদব নামের তরুণীর নিখোঁজের সময়েই এই এলাকায় নীল-সাদা রঙের একটি বাসের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। সেই বাসের চালক মনু।
মনু পুলিশকে জানিয়েছে, একটি জিন্সের কারখানায় তার মায়ের সঙ্গে প্রীতি কাজ করতেন। সেই সূত্রেই আলাপ ও বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দিনের পর দিন মনুর বেতনের অর্ধেক দাবি করতেন প্রীতি। নানা অজুহাতে টাকা নিতেন। মাঝে মাঝে টাকা দিতে অস্বীকার করলে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা পরিবারে জানিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন তরুণী। এর জেরেই খুনের পরিকল্পনা করে সে।
গত ৫ নভেম্বর বাইরে দেখা করে খাওয়াদাওয়া করে একসঙ্গে। এরপর অশান্তি শুরু হয় দু'জনের মধ্যে। সেই রাতে রাগের মাথায় প্রীতিকে খুন করে, মুণ্ডু কেটে সেই নর্দমায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে খুনের পর তরুণীর দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল শহরে! নর্দমায় ভাসছিল নগ্ন তরুণীর দেহ। নেই মুণ্ডু, হাতের তালু। নয়ডার অভিজাত এলাকায় সকালে এহেন দৃশ্য দেখেই শিউরে উঠেছিলেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আঁতকে ওঠে পুলিশও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নয়ডায় একটি ড্রেন থেকে মুণ্ডুহীন এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তরুণী নগ্ন অবস্থায় ছিলেন। নর্দমায় ভাসছিল তাঁর দেহ। তরুণীর দুই হাতের তালুও কাটা ছিল। বুধবার সকালে সেক্টর ১০৮ থেকে তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তরুণীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর সেক্টর ১০৮-এর এক নর্দমায় মুণ্ডুহীন দেহটি ফেলে পালিয়ে গেছে কেউ বা কারা। খুনটি অন্যত্র করা হয়েছিল বলেই তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা।
সেদিন সকালে বিষয়টি প্রথমে চোখে পড়ে স্থানীয়দের। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেক্টর ৩৯ থানার পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত তরুণীর দেহ অটোপ্সির জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছিল।
