আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময় যত এগোচ্ছে, দিনে দিনে ততই নাটকীয় মোড় নিচ্ছে মেঘালয় মার্ডার মিস্ট্রি। এবার রাজার পরিবারের তরফে বিরাট দাবি। রাজার দিদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছেন, তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর পর, রাজ পৌঁছেছিলেন অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায়। সন্তান হারা রাজার বাবাকে স্বান্তনা, ধরে ধরে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে তাকে। রাজার দিদির দাবি, রাজার দেহ পৌঁছনোর পরে, রাজই তাঁর বাবাকে সামলেছিলেন যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেদিনের এক প্রত্যক্ষদর্শীও এই দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন রাজার শেষ্কৃত্যে উপস্থিত থাকার জন্য, সোনমের পরিবার থেকে কয়েকটি গাড়ি ঠিক করা হয়েছিল। তার একটি গাড়ি চালচ্ছিল রাজ। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি যে চারচাকায় গিয়েছিলাম, ওই গাড়ি চালাচ্ছিল এই ছেলেটিই। তখন আমাদের কোনও কথা হয়নি। পরে সংবাদমাধ্যমে এর ছবি দেখেই মনে পড়েছে।'
এর আগে, রাজার মা-ও সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, রাজার শেষকৃত্যে উপস্থিত হওয়া অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা রাজকে দেখেছিলেন সেখানে। তবে তিনি কখনও এই রাজ নামের যুবককে দেখেননি, আগে কোনওদিন নাম শোনেননি বলেও জানান তিনি।
রাজা ও সোনম। বিয়ে এবং বিয়ের পরিবর্তী মধুচন্দ্রিমা। আর সেখানেই বদলে গিয়েছে যাবতীয় সমীকরণ। যদিও ঘটনায় দিনে দিনে যা নাটকীয় মোড় উঠে আসছে, তাতে স্পষ্ট যাবতীয় সমীকরণ বদলে ফেলতে, নিখুঁত পরিকল্পনা কষা হয়েছিল সময় নিয়েই।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাজা রঘুবংশীর সুরতহালের রিপোর্ট, মাথার সামনে এবং পিছন থেকে দু’ বার আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে।
১১ মে রাজা ও সোনম গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২ জুন পাহাড়ি গভীর খাদ থেকে রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক যুবককে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ স্ত্রীয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। পরিবারের আশঙ্কা ছিল, সোনমকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে। ধর্ষণ করে, খুন করে মাটিতেও পুঁতে দিতে পারে।
সোমবার মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছরের সোনম রঘুবংশী ও ২১ বছরের রাজ এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, রাজের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সোনমের। মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়ার পর রাজকে হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশন পাঠিয়েছিলেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডে আরও একাধিক তরুণ জড়িত রয়েছে। সোনম ছাড়াও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি এমনভাবে সোনম ও রাজ সাজিয়েছিলেন, যেন দেখলে মনে হবে রাজাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।
