আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক মর্মান্তিক ঘটনা। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরে নিজের দাদা ও বৌদিকে কুপিয়ে খুন করল এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে ওই দম্পতির ছোট্ট দুই সন্তানের সামনেই। এই ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যজুড়ে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বাবলু চৌধুরী। খবর অনুযায়ী, পেশায় দিনমজুর বাবলুর সঙ্গে তার বড় ভাই সঞ্জয় চৌধুরীর (পেশায় ব্যবসায়ী) পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই তীব্র গোলমাল চলছিল। শুক্রবার দুপুরে বাবলু বালদি কোরি ডাফাই এলাকায় সঞ্জয়ের বাড়িতে যায়। সেখানে সে সম্পত্তির ভাগ দাবি করলে ফের দু’জনের মধ্যে আরেক প্রস্থ বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর পরই বাবলু ধারালো ছুরি দিয়ে দাদা সঞ্জয়কে কোপাতে শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সঞ্জয় টলতে টলতে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছেন, এবং তাঁর পিছনেই বাবলু। রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পরেও বাবলু তাঁকে লাগাতার আঘাত করে চলেছে।
ফুটেজে আরও দেখা যায়, সঞ্জয়কে সামনে এবং পিছনে অন্তত দু’বার কোপানোর সময় তার বৌদি বাবলুকে আটকানোর চেষ্টা করেন। এর পরও বাবলু সঞ্জয়কে আরও কয়েক বার আঘাত করে। শেষে বৌদি ও অন্য এক ব্যক্তি তাকে ধরে ফেলেন। কোনও রকমে উঠে সঞ্জয় কিছুটা দূরে হেঁটে গেলেও বাবলু তার পিছু নেয় এবং একাধিক বার তাঁর শরীরে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর পর বাবলু তার বৌদিকে তাড়া করে। পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে তিনি বাড়ির ভেতরে চলে গিয়েছিলেন। এরপর ছোট্ট দুই শিশুর চোখের সামনেই বাবলু তাঁকেও কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালেই ‘শিশু অদল-বদল’! তুমুল শোরগোল বিজেপি শাসিত রাজ্যে
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর ধরা পড়ার ভয়ে বাবলু ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। সঞ্জয় এবং তাঁর স্ত্রীকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ বাবলু চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের করেছে এবং তার খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও বেশ কয়েকটি দল পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রতীক্ষা মার্কো জানিয়েছেন, “দীর্ঘদিনের সম্পত্তি বিবাদ থেকেই এই ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।”
