আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধুমধাম বিয়ের আসর। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান পালন করেছিল নবদম্পতি। নাচ, গানে মেতেছিলেন বাড়ির আত্মীয়রা। ফুলশয্যার রাতেই ঘটল বিপত্তি। দীর্ঘক্ষণ নবদম্পতির আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখনই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন আত্মীয়রা। ঘরের মধ্যে দৃশ্য দেখেই শিউরে উঠলেন তাঁরা। কী দেখলেন?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সাদাত গঞ্জ এলাকায় শিবানী নামের তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রদীপ নামের এক যুবক। বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে সন্ধেয় প্রদীপের বাড়িতে পা রাখেন শিবানী। বিবাহ পরবর্তী আচার পালন করেন সেখানে। তারপর আত্মীয়দের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে রাতে দু'জনে একসঙ্গে ঘুমাতে যান।
রবিবার সকালে অর্থাৎ ফুলশয্যার পরেরদিন আর দরজা খোলেনি নবদম্পতি। তাঁদের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বারবার ফোন করেও মেলেনি উত্তর। অবশেষে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন আত্মীয়রা। ঘরে ঢুকেই দেখতে পান, নবদম্পতির নিথর দেহ।
পুলিশকে প্রদীপের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, শিবানীর দেহ বিছানায় লুটিয়ে ছিল। অন্যদিকে প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শিবানীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, আত্মঘাতী হন প্রদীপ। কী কারণে এই চরম পদক্ষেপ করলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
