আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি এখনও। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জানা গিয়েছে ওয়েনাড়ের ভূমিধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৯০জনের। আহত বহু মানুষ ভর্তি হাসপাতালে। উদ্ধারকার্যের চতুর্থ দিনে দাঁড়িয়ে আরও নিখুঁত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। ধ্বংসস্তূপে এখনও কেউ আটকে আছেন কিনা, তল্লাশি চলছে তার।

তবে এর মাঝেই চর্চা শুরু হয়েছে অপর এক বিষয়ে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান সচিব টিকু বিসওয়াল রাজ্যের সব বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কেরল সরকার বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিজ্ঞানীদের অনুরোধ করেছেন, যাতে তাঁরা ওয়েনাড় প্রসঙ্গে তাঁদের মতামত, সমীক্ষা-তথ্য মিডিয়ার সঙ্গে ভাগ করে না নেন, সূত্রের খবর তেমনটাও।


উল্লেখ্য, কেরল এবং অন্যান্য জায়গার বিজ্ঞানী, আবহাওয়াবিদরা এই ভয়াবহ ভূমিধসের কারণ হিসেবে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গেই বনাঞ্চল কেটে ফেলা, ভূমিভাগ খননের মতো কারণগুলিকে গুরুত্বপূর্ন বলে মনে করছেন। তবে কেরল সরকার রাজ্যের সমস্ত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে নিষেধ করেছে। বিজ্ঞানীরা ওই জায়গা পরিদর্শন করতে চাইলে, কেরল রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।


তবে কেন এই সিদ্ধান্ত, তা জানা যায়নি এখনও। ইতিমধ্যে ওয়েনাড়ের উপগ্রহ চিত্র সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এক রাতে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৮৬ হাজার বর্গ মিটার এলাকা। প্রায় পাঁচটি রাষ্ট্রপতি ভবনের সমান এলাকার ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে অন্তত ৮ কিলোমিটার। উপগ্রহ চিত্রে ঘটনার আগে এবং পরে পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরা হয়েছে।