আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার ভয়ঙ্কর হাল। গর্ভেই ভ্রূণ মারা গিয়েছে, এমন দাবি করে প্রসূতিকে ভর্তিই নিলেন না সরকারি হাসপাতালের নার্সরা! দিশেহারা ওই প্রসূতিকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এই ঘটনায় হাজারিবাগ শেখ ভিখারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
নবজাতকের মা মনীষা দেবীর স্বামী দাবি করেছেন যে, বুধবার তিনি চালকুশা ব্লক থেকে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে হাজারিবাগের শেখ ভিখারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়েছিলেন, কিন্তু নার্সরা তাকে জানান যে, প্রসূতির হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম এবং ভ্রূণ ইতিমধ্যেই মৃত। তবে আশা হারাননি স্বামী বিনোদ সাও। স্ত্রী মনীষাকে জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তিনি একটি সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
সন্তানের মুখ দেখে বিনোদ সাও বলেন, "আমার সন্তানের নিরাপদ প্রসবের জন্য আমি সেন্ট কলম্বার মিশন হাসপাতালের ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই।"
এই খবর জানাজানি হতেই হাজারিবাগের ডেপুটি কমিশনার শশী প্রকাশ সিং শুক্রবার শেখ ভিখারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টকে ঘটনার তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, "সরকারি হাসপাতালগুলি রোগীদের কম খরচে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে, সেই পরিষেবা এখানে অস্বীকার করা হয়েছে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি"
বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনাকারী শ্রীনিবাস মঙ্গলম ট্রাস্টের মালিক ডাঃ প্রবীণ কুমার বলেন, "চিকিৎসা কেন্দ্রে একাধিক পরীক্ষার পর মনীষা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যার রিপোর্ট সন্তোষজনক। মা এবং শিশু পুত্র উভয়ই নিরাপদে আছেন।"
