আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল অশান্তি। কিছুক্ষণেই চরম পদক্ষেপ যুবকের। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, আত্মঘাতী হলেন তিনি। গুরুগ্রামের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দম্পতির নিথর দেহ। যে ঘটনায় হতবাক তাঁদের বন্ধুবান্ধব, পরিবার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এক যুবক নিজের স্ত্রীর শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এরপরই আত্মঘাতী হন তিনি। মৃত যুবকের নাম, অজয় কুমার (৩০)। দাম্পত্য কলহের জেরেই স্ত্রীকে খুন করেন তিনি। এরপর নিজের এক বন্ধুকে ভিডিওবার্তা পাঠান। যেখানে উল্লেখ করেন, তিনি নিজেকেও শেষ করতে চলেছেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অজয় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের বাসিন্দা ছিলেন। গত তিন বছর আগে দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। গুরুগ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। অজয়ের এক বন্ধু রবিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ পুলিশে খবর দেন। সেই রাতেই অজয় ভিডিও পাঠিয়ে নিজেকে শেষ করার কথা জানিয়েছিলেন।
ভিডিওবার্তা দেখে পুলিশের অনুমান, চরম পদক্ষেপের আগে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সেই অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এরপর আত্মঘাতী হন যুবক। তাঁদের বাড়ির একটি ঘর থেকে অজয়ের ঝুলন্ত দেহ এবং অন্য একটি ঘরে থেকে তাঁর স্ত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুন ও আত্মহত্যার নেপথ্যে আসল কী কারণ ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দাম্পত্য কলহের জেরে আরও এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। ভালবেসে বিয়ের পরেও নিত্যদিন অশান্তি। ঝামেলায় জেরবার দম্পতি। অবশেষে দুই বছরের শিশুকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চরম পদক্ষেপ করল তারা। একসঙ্গে ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল দম্পতি। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায়। শনিবার এক ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় এক দম্পতি। চরম পদক্ষেপ করার আগে রাস্তার ধারে দুই বছরের শিশুকে রেখে গিয়েছিল তারা। পুলিশ আধিকারিক দেবকরণ দেহেরিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে বুকাখেদি ড্যামে। মৃতেরা হলেন শুভম কারদাতে (২৫) ও তাঁর স্ত্রী রোশনি (২৪)।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, চার বছর আগে ভালবেসেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শুভম ও রোশনি। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা বাড়তে থাকে। নিত্যদিনের অশান্তির জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছে দম্পতি। শনিবার সকালে ঝগড়া, অশান্তির পর সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন রোশনি। তাঁর পিছু নেন শুভম। এরপর তাঁরা ওই ড্যামের কাছে পৌঁছে যান।
এরপর শুভম তাঁর মামাকে ফোন করেন। ফোন করে অনুরোধ করেন, তাঁর সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর ওই ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় দম্পতি। আর রাস্তার ধারেই পড়েছিল দুই বছরের শিশু। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন শুভ্রের বাবা। সেখানে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে শুভম ও রোশনির জীবন শেষ।
