আজকাল ওয়েবডেস্ক: টাকার জন্য নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মত্ত অবস্থায় এক কোপে তরুণের মুণ্ডু কেটে ফেলল বন্ধুরা। এরপর ভিন জেলায় দেহ ভাসিয়ে দেয়। যে ঘটনার। শিউরে উঠেছে পরিবার, ও স্থানীয়রাও। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সি এক তরুণকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। তরুণের মুণ্ডু কেটে মহারাজগঞ্জ জেলায় একটি খালে দেহ ভাসিয়ে দেয় বন্ধুরা। সোমবার সন্ধ্যায় তরুণের মুণ্ডু ও দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দুই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। 

মৃত তরুণের নাম, অম্বুজ। তিনি সূর্য বিহার কলোনির বাসিন্দা ছিলেন। গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এক বিয়েবাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। ফোনটিও বন্ধ ছিল। অবশেষে ২৮ নভেম্বর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। 

তদন্তে নেমে অম্বুজের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় এক বন্ধু জানায়, মত্ত অবস্থায় বন্ধুদের সঙ্গে অম্বুজের টাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। রাগের মাথায় তাঁকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তারা। এক কোপে মুণ্ডু কেটে নেয়। এরপর দেহ ও মুণ্ডু নিয়ে মহারাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। মুণ্ডুটি একজায়গায় ফেলে, ১০ কিলোমিটার দূরে আরেকটি খালে দেহ ভাসিয়ে দেয়। 

দেহের টুকরো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। অম্বুজের দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। আরেকজনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে। ধৃতদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে। 

গত মাসে আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল নয়ডায়। নর্দমা থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগ্ন তরুণীর মুণ্ডুহীন শরীর। ছিল না হাতের তালুও। নয়ডার সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কিনারা এক সপ্তাহের মধ্যেই। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন করা হয়েছিল তরুণীকে। খুনের অভিযুক্ত প্রেমিককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম, মনু সোলাঙ্কি। পেশায় সে একজন বাস চালক। সে বিবাহিত ছিল। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ হাজার সিসিটিভি ফুটেজ, এক হাজারের বেশি যানবাহন, ৪৪টি সন্দেহভাজন গাড়ির চালকের গতিবিধি খতিয়ে দেখে তারা। প্রীতি যাদব নামের তরুণীর নিখোঁজের সময়েই এই এলাকায় নীল-সাদা রঙের একটি বাসের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। সেই বাসের চালক মনু। 

মনু পুলিশকে জানিয়েছে, একটি জিন্সের কারখানায় তার মায়ের সঙ্গে প্রীতি কাজ করতেন। সেই সূত্রেই আলাপ ও বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দিনের পর দিন মনুর বেতনের অর্ধেক দাবি করতেন প্রীতি। নানা অজুহাতে টাকা নিতেন। মাঝে মাঝে টাকা দিতে অস্বীকার করলে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা পরিবারে জানিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন তরুণী। এর জেরেই খুনের পরিকল্পনা করে সে। 

গত ৫ নভেম্বর বাইরে দেখা করে খাওয়াদাওয়া করে একসঙ্গে। এরপর অশান্তি শুরু হয় দু'জনের মধ্যে। সেই রাতে রাগের মাথায় প্রীতিকে খুন করে, মুণ্ডু কেটে সেই নর্দমায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে।