আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৬২ বছরের প্রাক্তন সেনাকর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। খুনের পর প্রাক্তন সেনাকর্মীর দেহ ছ'টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় শহরের চারিদিকে। ঘটনার তিনদিন পর গ্রেপ্তার তাঁর স্ত্রী, প্রেমিক সহ আরও দু'জন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ১০ মে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী দেবেন্দ্র কুমারের স্ত্রী মায়া দেবী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। গত শনিবার জানান, স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যেই দেবেন্দ্রর মেয়ে পুলিশকে মায়ের বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের অভিযোগ জানান।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। সিকান্দারপুর থানার অন্তর্গত খারিদ দারাউলি গ্রামের একটি মাঠের পাশ থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা কাটা হাত-পা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মায়া দেবীকে দীর্ঘ জেরার পর, তিনি খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেন। এও জানিয়েছেন, অনিল যাদব নামের এক লরি চালকের সঙ্গে তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মায়ার পরিকল্পনাতেই অনিল আরও দু'জনের সাহায্যে দেবেন্দ্র কুমারকে খুন করেন। এরপর দেহ ছ'টুকরো করেন। মাথা, দু'হাত, দু'পা, দেহ আলাদা করে শহরের চারিদিকে ছড়িয়ে দেন। যাতে কেউ সন্দেহ না করেন। সোমবার এক অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার অনিল যাদব সহ আরেকজনকে এনকাউন্টার করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
