আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুজরাতের আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান দুর্ঘটনা কবলে পড়েছে। বিমানটিতে যাত্রী এবং ক্রু-সহ মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। সকল যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানবন্দরের পাশেই একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সেখানেও কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সবেরই মাঝে ঠিক এক সপ্তাহ আগে করা একটি ভবিষ্যদ্বাণী এখন সোশ্যাল মিডিয়া ঝড় তুলেছে। বিশেষ করে জ্যোতিষীর নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী দেখে অনেকেই হতবাক।

জ্যোতিষী শর্মিষ্ঠা তাঁর এক্স হ্যান্ডেল @AstroSharmistha- তে গত ৫ জুন একটি সম্ভাব্য ‘বিমান দুর্ঘটনা’ এবং বিমান পরিষেবায় অস্থিরতার বিষয়ে সতর্ক করে পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্টটি ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দেরর কাছে ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

গত ডিসেম্বরে শর্মিষ্ঠা টুইট করেছিলেন, ‘২০২৫ সালটি বিমান শিল্পের জন্য ভাল যাবে। কিন্তু একটি বিমান দুর্ঘটনা আমাদের চমকে দিতে পারে। দুই মাস আগে আমি এই নিয়ে টুইট করেছিলাম।‘

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 5, 2025

তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন, জ্যোতিষশাস্ত্রে মৃগশিরা এবং আর্দ্র নক্ষত্রে বৃহস্পতি (গুরু) এর অবস্থান বিমান শিল্পে অগ্রগতি আনবে। তবে অস্থিরতা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

গত ৫ জুন তিনি আরও একটি পোস্ট করেন, সেটিই সকলের নজর কেড়েছে। শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার পূর্বাভাস নিয়ে আমি এখনও নিশ্চিত।‘ তিনি লিখেছেন, “টাটা হায়দ্রাবাদে রাফালের বিমানের সরঞ্জাম তৈরি করবে। এটি কেবল বিমান শিল্পের সম্প্রসারণ, ইসরো আগামী দুই বছরে মহাকাশ ও উপগ্রহ কৌশল, মহাকাশ পর্যটনে বিশ্বকে অবাক করে দেবে। গত বছর নক্ষত্রের গতিবিধিতে নজর রেখে এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। আমি এখনও বিমান দুর্ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী ধরে রেখেছি।“

এরপরেই ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “গ্রহ-নক্ষত্ররা কি সত্যিই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।", অন্য একজন লিখেছেন, "এত সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী? এখন আমি নক্ষত্রপুঞ্জকে ভয় পেতে শুরু করেছি।"

কেউ কেউ জ্যোতিষীর দূরদর্শিতার প্রশংসা করলেও, অন্যরা দুর্ঘটনাক সময় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।