আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক নাবালিকাকে পতিতাবৃত্তি এবং অশ্লীল ভিডিও করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই অভিযোগে চেন্নাইয়ের দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অর্থ উপার্জনের জন্য দম্পতি অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও আপলোড করেছিলেন।
ওই দম্পতির বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ কমিটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই ভিত্তিতে পুলিশ একজন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে ওই দম্পতিটিকে চিহ্নিত করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের একজনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে এবং তাতে নির্যাতিতাদের বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ খুঁজে পায়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ জানিয়েছে যে বেশিরভাগ ভিডিও মেয়েদের সম্মতি ছাড়াই গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা হত। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, ব্যবসায়ী এবং তাঁর স্ত্রী নিজের মেয়েকেও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিলেন এবং অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে তার ছবি-ও তুলেছিলেন।
ওই দম্পতি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অনলাইনে নিজের মেয়ে-সহ নাবালিকাদের বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি বিক্রি করেছিলেন। পরে পুলিশ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে এবং পকসো আইনের আওতায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই দম্পতিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।
নাবালিকা মেয়েটিকে সরকারি তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। মানসিক আঘাতের জন্য তাঁর কাউন্সেলিং চলছে। পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতির মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য সেগুলি ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
