আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ। ডিভোর্সের নোটিশ পাঠাতেই ঘটল বিপত্তি। ডিভোর্সের নোটিশ পাঠানোর এক সপ্তাহ পরেই স্ত্রীকে গুলি করে খুন করলেন স্বামী। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগেই ভুবনেশ্বরী ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বালামুরুগানকে। বিবাহ বিচ্ছেদ সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ডিভোর্সের নোটিশ পাঠানোর এক সপ্তাহ পরেই ভুবনেশ্বরীকে গুলি করে খুন করেছেন বালামুরুগান। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, কাজ থেকে বাড়ি ফিরতেই গুলিবিদ্ধ হন ভুবনেশ্বরী। তাঁকে চার রাউন্ড গুলি করে খুন করেন বালামুরুগান। এরপর থানায় পৌঁছে আত্মসমর্পণ করেন। ৪০ বছরের বালামুরুগান পেশায় একজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। গত চার বছর তিনি বেকার। অন্যদিকে ৩৯ বছরের ভুবনেশ্বরী এক সর্বভারতীয় ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছিলেন। 

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১১ সালে ভুবনেশ্বরী ও বালামুরুগান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৮ সালে তাঁরা বেঙ্গালুরুতে থাকতে শুরু করেন। দু'জনেই তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ছিলেন। দুই সন্তান রয়েছে তাঁদের। গত একবছর ধরে তাঁরা আলাদা ছিলেন দাম্পত্য কলহের জেরে। রাজাজীনগরে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ভুবনেশ্বরী। বালামুরুগানের সন্দেহ ছিল, ভুবনেশ্বরী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। 

মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরীর বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন বালামুরুগান। সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ বাড়িতেই প্রাক্তন স্ত্রীকে চার রাউন্ড গুলি করে খুন করেন যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। 

গত মাসের শেষেও এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। নিত্যদিন দাম্পত্য কলহ। অশান্তির জেরে জীবন জেরবার। কখনও আবদারের জন্য, কখনও বা সন্দেহের বশে। তিতিবিরক্ত হয়ে স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করেন স্বামী। ধামাচাপা দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করেন তাঁর স্বামী। খুনের পর গল্প ফেঁদে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পুলিশকে আগে জানিয়েছিলেন, ফুচকা খেতে গিয়েই নিখোঁজ হয়ে যান স্ত্রী। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সেদিন এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করে তারা। নিথর দেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট। দেহটি শনাক্তকরণের পর জানা যায়, ৩৩ বছরের বধূ স্নেহাবেন আসোদিয়া তিনি। হিতেশ আসোদিয়ার স্ত্রী ছিলেন তিনি। দু'জনেই রাজকোটের বাসিন্দা ছিলেন। দেহ উদ্ধারের পরেই স্বামীকে সন্দেহ করে পুলিশ। 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্নেহাবেনের সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি হত হিতেশের। সন্দেহের বশে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করতেন স্নেহাবেন। যা থেকে কথা কাটাকাটি ও অশান্তি লেগেই থাকত। প্রথমে নিখোঁজের গল্প বললেও, পরে স্বীকার করে নেন, স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে খুন করেছেন তিনি। 

তিন বছর আগে হিতেশ ও স্নেহাবেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তুমুল দাম্পত্য কলহ জীবন জেরবার করে তোলে। কাজে যখন হিতেশ ব্যস্ত থাকতেন, তখন সন্দেহের বশে বারবার ফোন করে বিরক্ত করতেন স্ত্রী। ফোন না ধরলেই অশান্তি শুরু হত। কারখানায় কাজ করতেন হিতেশ। কাজের চাপ, দাম্পত্য কলহের জেরে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল তাঁর। 

দম্পতির দুই বছরের এক ছেলেও আছে। শনিবার সন্ধ্যায় হিতেশকে ফোন করে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার আবদার করেছিলেন স্নেহাবেন। তখন আবারও ঝামেলা হয় তাঁদের। রাগের মাথায় কারখানা থেকে লোহার রড তুলেই বাড়ির দিকে রওনা দেন। এরপর স্নেহাবেনকে নিয়ে নির্জন এলাকায় চলে যান। সেখানেই স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে মেরে খুন করে পালিয়ে যান। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।