আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষা করাই ছিল তার প্রধান কাজ। এখান থেকেই চলত তার পেট। নাম তার নীলম দেবী। তবে প্রতিবারই যখনই কোনও বাড়ি থেকে ভিক্ষা নিয়ে তিনি বের হতেন তখনই সেই বাড়ি থেকে কিছু না কিছু খোয়া যেত।
বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে সেই মহিলার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করেন পুলিশ কর্মীরা। এরপরই অবাক করা কাণ্ড। নীলম দেবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কেটিএম বাইক যার বাজারমূল্য ১ লক্ষ টাকা। ১২ টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন দেশের রুপোর কয়েন। সেখানে একটি কয়েন রয়েছে ব্রিটিশ আমলের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভিখারির বেশে এই মহিলা সকলের বাড়িতে ভিক্ষা করতেন। শুধু ভিক্ষা নয়, মশা রোখার জালও তিনি মাঝে মাঝে বিক্রি করতেন। তবে তার প্রধান টার্গেট ছিল ঘরের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়া। এই কাজে নীলম একা ছিলেন না। তার সঙ্গে কাজ করতেন জামাইও। দিনের বেলা যদি চুরি না করতে পারেন তাহলে দুজনে মিলে রাতে গিয়ে সেই বাড়িতে চুরি করতেন।
নীলম দেবীকে পুলিশ ধরার পর তার জামাই চুটুক লাল পালিয়ে যায়। তাকে পুলিশ খোঁজার কাজ করছে। ধরা পড়ে নীলম দেবী জানিয়েছেন এই সমস্ত জিনিস তার জামাইয়ের। এর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশের অনুমান কেটিএম বাইকটিকে চুরির সময় ব্যবহার করত দুজনে। যাতে চুরি করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া যায়।
উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলির মধ্যে নেপাল, আফগানিস্তান, কুয়েতের। এছাড়া বেশ কয়েকটি সোনার অলঙ্কারও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে জামাইকে ধরার পর এদের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তাদের সন্ধান পাওয়া যাবে। তবে বিদেশী মুদ্রা কীভাবে এল তা নিয়ে চিন্তায় পুলিশ। নীলম দেবীকে আপাতত জেলে পাঠানো হয়েছে।
