আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪ বছরে শিশু তার দিদিমাকে ভিডিওকল করে মায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখায়! মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে আঁতকে ওঠেন বৃদ্ধা। তড়িঘড়ি বৃদ্ধা পুলিশকে ফোন করেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঘটনার কতা জানান। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের।
জানা গিয়েছে , ২০১৯ সালে রোহিত নামের এক সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করেন রুবি রানির। স্বামী এবং কন্যা সন্তান নিয়ে তিনি মোরাদাবাদে ভাড়া থাকতেন। মোরাদাবাদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ করতেন রুটি। তাঁর স্বামী রোহিত পেশায় একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
পুলিশের কাছে পরিবারের অভিযোগ ,তাদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়নি। মেয়ের গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়ার ঘটনা সাজানো। তাদের মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাত আছে রুবির স্বামী রোহিতের। জামাই মাঝেমাঝেই তাঁদের মেয়ের কাছ থেকে টাকা দাবি করত। টাকা-পয়সা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে অশান্তি হত। এমনকি ঘটনার দিনও তাঁদের মেয়ের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা রোহিত নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছিল।
মৃতার পরিবার আরও জানায়, রোহিত এবং রুবির মোদীনগরে একটি বাড়ি ছিল। রোহিত বাড়ির কিস্তি দেওয়া আচকাই বন্ধ করে দেন এবং বাড়ি বিক্রি করে দেন। রুবি বাড়িটি বিক্রি রতে রাজি না হওয়ায় তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। পরিবারের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই পুলিশ তদন্তে নামে। পুলিশ জানতে পেরেছে, আত্মঘাতী হওয়ার আগে স্বামীকে ফোন করেছিল মৃতা। এমনকি আত্মহত্যার কথা জানিয়েছিল স্বামীকে। অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অভিযুক্তের ল্যাপটপ।
