আজকাল ওয়েবডেস্ক: গম্ভীর গলা না কি বিশাল অণ্ডকোষ—একসঙ্গে দুটোই পাওয়া কঠিন হাওলার বানরের জন্য। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে প্রজাতির হাওলার বানরের গলা যত গম্ভীর ও জোরালো, তাদের অণ্ডকোষ ততই ছোট। আর যাদের অণ্ডকোষ বড়, তাদের ডাক অপেক্ষাকৃত কোমল।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী জ্যাকব ডান ও তাঁর সহকর্মীদের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তারা ৯টি প্রজাতির ১৪৪টি হাওলার বানরের হাড় এবং পূর্বে রেকর্ড করা ডাক বিশ্লেষণ করে দেখেছেন—বড় হাইয়য়েড হাড় (যা গলার আওয়াজ নির্ধারণ করে) মানে বেশি আওয়াজ, কিন্তু তুলনায় ছোট অণ্ডকোষ। অন্যদিকে, বড় অণ্ডকোষযুক্ত বানরদের ডাক অনেকটাই দুর্বল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে একটি বিবর্তনমূলক শক্তি বণ্টনের কৌশল। যেসব প্রজাতির পুরুষ বানর এককভাবে বা ছোট দলে থাকে, তারা বাইরের প্রতিদ্বন্দ্বীদের হুমকি দিতে উচ্চস্বরে ডাকে, যাতে নিজের গোষ্ঠীর মেয়েদের একচেটিয়া ভাবে পায়। তাদের বেশি শুক্রাণু উৎপাদনের প্রয়োজন পড়ে না। আর যেসব প্রজাতিতে একাধিক পুরুষ একসঙ্গে থাকে, সেখানে ডাক নয়—প্রজনন প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য দরকার বেশি শুক্রাণু, তাই বড় অণ্ডকোষই সেখানে কার্যকর।
এই গবেষণা আরও একবার দেখিয়ে দিল, প্রাণীরা যৌন সাফল্যের জন্য কত বিচিত্রভাবে নিজেদের শরীর ও শক্তির ব্যবহার করে। কারও অস্ত্র আওয়াজ, কারও আবার নীরব সঞ্চয়।
